
নির্বাচনের আগে দল গোছানো এবং বিরোধীদের আন্দোলন মোকাবেলা করার লক্ষে সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ। আর অক্টোবর থেকেই সাংগঠনিক সফরে বের হচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এ লক্ষ্যে রবিবার আট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকদের সাথে গণভবনে বৈঠক করবেন তিনি। ।
সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা, ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা; আগস্ট জুড়েই ঘরোয়া কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগ।
কিন্তু এরইমধ্যে নানা ইস্যুতে রাজপথ দখলে নিতে মরিয়া সরকারবিরোধী দলগুলো। তাই শোকের মাস শেষেই জোরালোভাবে মাঠের রাজনীতিতে ফিরছে আওয়ামী লীগ।
রোববার সকালে আট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকদের গণভবনে ডেকেছেন শেখ হাসিনা। জানা গেছে, চার বছর পর সেপ্টেম্বরেই এসব বিভাগের সব জেলা-উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সাথেও বসবেন দলীয় প্রধান।
বৈঠকে দলীয় প্রধান সারাদেশের সাংগঠনিক অবস্থার কথা জানবেন। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে জেলা নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করবেন।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ১৪ আগস্ট বেলা সাড়ে ১০টায় আট সাংগঠনিক সম্পাদককে ডেকেছেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের সাংগঠনিক রিপোর্ট নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক রিপোর্ট প্রস্তুত করেছি। ৭৬ উপজেলার সম্মেলন শেষ করেছি। বাকি আছে ছয়টি উপজেলা। দলীয় সভানেত্রী যে নিদের্শনা দেবেন, আমরা সে মোতাবেক কাজ শুরু করব।
আওয়ামী লীগ নেতা বিপ্লব বড়ুয়া জানান, নির্বাচনের দেড় বছর বাকি থাকলেও এখন থেকেই তৃণমূলকে প্রস্তুত করতে চান তারা। সেজন্য ছোট পরিসরে জেলা নেতাদের ডাকা হচ্ছে।
তিনি বলেন, দলের কার্যনির্বাহী বৈঠকে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে। কিন্তু শুধু সাংগঠনিক সম্পাদকদের নিয়ে আলাদা করে বৈঠক দীর্ঘ দিন হয় না।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জাতীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে এ বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে হচ্ছে। আমার বিভাগে কোন জেলায় কী অবস্থা, সাংগঠনিক দুর্বলতা কোথায়- সেগুলো চিহ্নিত করেছি। ১৪ আগস্ট নেত্রীকে সে তালিকা তুলে দেবো
সারাদেশে আওয়ামী লীগের ৭৮ সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। এর মধ্যে ৪৪টি জেলার সম্মেলন হয়েছে। বাকিগুলোর ডিসেম্বরের আগেই শেষ করার প্রস্তুতি রয়েছে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে জেলার নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বসবেন, সেটা মোটামুটি চূড়ান্ত। আগামী সেপ্টেম্বরে নেত্রীর দিল্লি ও নিউইয়র্ক সফর আছে। এর মাঝে সময় পেলে সেপ্টেম্বরেই তিনি জেলা নেতাদের নিয়ে বসতে পারেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কৌশল কী হবে- এসব বিষয়ের আলোচনা জেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে স্থান পাবে বলে জানা গেছে।
Leave a Reply