1. admin@thedailypadma.com : admin :
রেললাইন বসানোর সময় পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন বন্ধ থাকবে না - দ্য ডেইলি পদ্মা
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
নিরপেক্ষতার জন্য তফসিলের আগেই উপদেষ্টা পরিষদ থেকে দুই ছাত্র প্রতিনিধিকে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে জাকসু নির্বাচন: সন্ধ্যা নয়, ফলাফল হতে পারে রাত ১০টার পর জাকসু নির্বাচন : দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষিকার মৃত্যু কয়েক সপ্তাহ ধরেই চড়া সবজির বাজার এখনো উত্তাপ ছড়াচ্ছে, বেড়েছে মুরগির দাম কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হবে না: নেতানিয়াহু ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের বিকল্প আমাদের হাতে নেই: প্রধান উপদেষ্টা জাকসুর ভোট গণনা শুরু, প্রদর্শিত হচ্ছে এলইডি স্ক্রিনে এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা

রেললাইন বসানোর সময় পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন বন্ধ থাকবে না

  • Update Time : শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২
  • ১২৬ Time View

পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চললে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ত্রিমাত্রিক (সড়ক, নৌপথ ও রেল যোগাযোগ) যোগাযোগের যুগে প্রবেশ করবে।

পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে গত জুনে। এখন সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলের অপেক্ষায় আছে পুরো দেশ।

পদ্মা সেতুসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আগামী বছরের জুনে পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচল শুরুর লক্ষ্যে কাজ চলছে। এ মাসেই (আগস্টে) সেতুর ওপর রেললাইন বসানোর কাজ শুরু হবে। রেললাইন বসানোর সময় পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন বন্ধ থাকবে না। রেললাইন বসানোর বেশিরভাগ কাজ হবে রাতের বেলায়। ট্র্যাক বসানোর জন্য সেতুর ওপর গাড়ির গতি কিছুটা কমানো হতে পারে। প্রথমে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে।

পদ্মা সেতু ও এর দুই প্রান্তে রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে ২০১৮ সালে। প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল ২০১৬ সালে। শুরুতে যানবাহন চলাচলের সঙ্গে একই দিনে রেল চালুর পরিকল্পনা ছিল সরকারের। কিন্তু রেললাইন বসানোসহ সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো নির্মাণের কাজ পিছিয়ে আছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে সরকারের সেতু বিভাগ। সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করার দায়িত্ব বাংলাদেশ রেলওয়ের।

ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন বসানো এবং স্টেশন ও অন্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য আলাদা প্রকল্প নেয় রেলওয়ে। জিটুজি পদ্ধতিতে এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। রেল সংযোগের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। গত ৪ আগস্ট পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের কাজ ৬২ শতাংশ শেষ হয়েছে। মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশের কাজ হয়েছে ৮১ শতাংশ। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত অংশের কাজ হয়েছে ৫২ শতাংশ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা সেতুর রেল প্রকল্পের কাজ সব অংশে পুরোদমে চলছে। কাজ নিয়ে ব্যস্ত এ প্রকল্পের শ্রমিকরা। বিভিন্ন স্টেশন নির্মাণের কাজও চলছে। চলছে রেললাইন বসানোর কাজ। পদ্মা সেতু দিয়ে রেললাইন (ট্র্যাক) আনা হচ্ছে মাওয়া প্রান্তে।

পদ্মা সেতুর রেল প্রকল্পে কর্মরত মো. হাশেম নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘আমার বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায়। জানি এ সেতুর ফলে কত উপকার হয়েছে আমাদের। পদ্মা সেতুর কাজেও ছিলাম। এখন রেলের কাজে আছি। এত বড় প্রকল্পের কাজ করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হয়। আমি একা নই, যারা এখানে কাজ করে তাদের সবাই মনে করে দেশের জন্যই কাজ করছি।’ দিনে রাতে সবসময় কাজ চলে বলে জানান তিনি।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজালুর রহমান বলেন, ‘এ প্রকল্পের কাজের গতি অনেক বেড়েছে। ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের কাজ ৬২ শতাংশ, মাওয়া থেকে ভাঙ্গার কাজ ৮১ শতাংশ আর ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত অংশের কাজ শেষ হয়েছে ৫২ শতাংশ। এ মাসেই পদ্মা সেতুর ওপর রেললাইন বসানোর কাজ শুরু হবে। যানবাহনের চলাচল বন্ধ না করেই কাজ চলবে সেতুতে। রাতে বেশিরভাগ সময় কাজ চলবে। তখন গাড়ির গতি কিছুটা কমানো হতে পারে। আগামী বছরের জুনে ঢাকা থেকে ভাঙ্গায় রেল চালানোর লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে চলছে।’

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বুয়েটের অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘পদ্মা সেতুর ফলে যোগাযোগের ত্রিমাত্রিক যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। এর সুবিধা শুধু ওই এলাকার মানুষই নয়, পুরো দেশ পাবে। বর্তমানে খুলনা, যশোরসহ দেশের পশ্চিমাঞ্চলের অনেক জেলায় রেল যোগাযোগ আছে। তবে ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ হয়ে ওইসব এলাকায় যেতে হয়। ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব ৩৮১ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু দিয়ে যে রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে, তাতে ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব ২১২ কিলোমিটার কমে যাবে। এখন রেলওয়ের হিসাবে, আন্তঃনগর ট্রেনে ঢাকা থেকে খুলনা যেতে সময় লাগে ১১ ঘণ্টা। পদ্মা সেতু হয়ে যে রেললাইন করা হচ্ছে তাতে উচ্চগতির ট্রেন চালানো সম্ভব। ফলে খুলনা-যশোরে চার ঘণ্টার মধ্যে যাওয়া সম্ভব। এ যোগাযোগের ফলে মোংলা বন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে খুব সহজে পণ্য ঢাকায় আনা যাবে, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও নেওয়া যাবে। ব্যবসা-বাণিজ্য বেশ সম্প্রসারিত হবে। দেশের জিডিপি ১.২৩ শতাংশ বাড়বে।’

তিনি বলেন, ‘রেল যাত্রী আনা-নেওয়া করে তেমন লাভবান হতে পারে না; পদ্মা সেতু দিয়ে রেল-কার্গোর মাধ্যমে পণ্য আনা-নেওয়া করে অনেক লাভবান হতে পারবে। আর রেল হলো আরামদায়ক, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী বাহন। পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চালু হলে ঢাকার প্রবেশমুখে এখন যে যানজট লেগে থাকে তাও অনেকাংশে কমবে। রেলে যাতায়াতের ফলে সড়ক দুর্ঘটনাও আগের চেয়ে কমে যাবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews