সুব্রত ববি; সিনিয়র করসপোন্ডেন্ট; এন টিভি: রশীদ-মুজিবউরের সাথে সাকিবদের জন্য নতুন থ্রেট পেসার ফারুকি।
নিশ্চই হোটেল রুমে বসে সাকিব ও কোচরা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আফগানিস্তানের ডিভাসটেটিং জয়টা দেখেছেন। আফগানদের দুর্দান্ত পারফরমেন্সের দুরন্ত জয় সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট বার্তা।
দুর্ধষ বোলিং আক্রমন, আর ব্যাটিং লাইনে পাওয়ার হিটারের ছড়াছড়ি- আজ সেই দলটার বিপক্ষে ম্যাচ বাংলাদেশের। এমনিতেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরিসংখ্যান বিপক্ষে। ৮বারে ৫বারই হেরেছে বাংলাদেশ। সেই সাথে আফগান স্পিন ভীতিতো রয়েছেই।
রশীদ-নবি-মুজিব উর-এই স্পিনত্রয়ীর সাথে এবার তাদের যে পেস আক্রমন দেখা যাচ্ছে সেটা চমক জাগানিয়া। শ্রীলংকাকে এই যে স্রেফ উড়িয়ে দিলো আফগানিস্তান-সেই সাফল্যের সুতিকা কিন্তু গেথেছেন পেসাররাই। বিশেষ করে ফজল হক ফারুকির কথাই বলতে হয়। দুর্দান্ত ২২ বছরের এই তরুন পেসার।
ফারুকির স্পেলটা গত বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে শাহীন আফ্রিদির বোলিংকেই মনে করিয়ে দিচ্ছিলো। ফারুকি-এই পেসারের হাতে গতি আছে, বল মুভমেন্ট করাতে পারেন এবং তার ইয়র্কর গুলোও ভয়ঙ্কর।
বাংলাদেশের টপ অর্ডারের জন্য বাগলানের তরুন ফারুকি এখন নতুন থ্রেট।
এশিয়াকাপে লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতিতে নেটে এতদিন রশীদের লেগ স্পিন, মুজিবউরের অফস্পিন মোকেবেলা নিয়ে শ্রীধরন শ্রিরাম কাজ করেছেন। টিম ম্যানেজমেন্টকে এবার অ্যানালিস্ট নিয়ে বসতে হবে ফারুকির বোলিং নিয়েও। আফগানিস্তানের পেস বোলিং কোচ পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার উমর গুল।তার তালিমেই শানিত হচ্ছেন আফগান পেসাররা।
আগে ব্যাট করা হোক কিংবা রান তাড়ায়-ব্যাটাররা পাওয়ার প্লেতে কেমন করেন তার উপর নির্ভর করে অনেক কিছু। সেখানে শুরুতেই ২/৩ উইকেট পড়ে গেলে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ার উপক্রম হয় দলের।
এটা মাথাতে নিয়েই মাঠে নামতে হবে বাংলাদেশকে। পাওয়ার প্লেতে খুব একটা সফল না বাংলাদেশ। দারুন বৈচিত্রপূর্ন্য এক বোলিং আক্রমন আফগানিস্তানের। সাকিবদের কেন তারা চ্যালেঞ্জ জানানোর সামর্থ রাখ যে কোন দলকেই।
শ্রীলংকাকে ১০৫ রানে গুড়িয়ে দেবার পর আফগানিস্তান যে ব্যাটিং করলো সেটাও বড় বার্তা বাংলাদেশের জন্য।পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে ৮৩ রান তুলেছে তারা। গুরবাজ ১৮ বলে ৪০ করেছেন।
গুরবাজ, হজরত উল্লাহ জাজাই, ইব্রাহিম জর্দান, নজিবউল্লাহ জর্দান, করিম জানাত-প্রত্যেকেই পাওয়ার হিটার। বড় শটস খেলতে ভালোবাসেন। টি-টুয়েন্টিতে যেমন ব্যাটিং প্রয়োজন-তেমন খেলার সামর্থ আছে তাদের। মুস্তাফিজ-সাকিব,তাসিকনদের বোলিং ডিপার্টমেন্টের জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ থাকছে সেটা না বোঝার কি আছে।
আফগানিস্তান ৬১ বলেই লংকানদের ১০৫ টপকে ফেলেছে ৫৯ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখে।বিশাল জয়ে তাদের নিট রান রেট দাড়িয়েছে ৫এর উপর। নবী-রশীদের সুপার ফোরে ওঠা আটাকানোটা কঠিন।
সাকিবের দলকে আফগান দুধর্ষ বোলিং আক্রমন, আর তাদের পাওয়ার হিটিংয়ের সাথে রান রেটের বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে।
শ্রীলংকার রান রেটে মাইনাস ৫.১৭৬ । বাংলাদেশ কিন্তু আফগানদের হারিয়ে দিতে পারলে সুপার ফোর তাদের সামনেও জ্বল জ্বল করবে।
Leave a Reply