
চার দিনের ভারত সফর শেষে ঢাকা ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইট বিজি ১৯০৭ কিছুক্ষণ আগে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবরতণ করে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইট অবতরণ উপলক্ষে বিমানবন্দরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে সোয়া ৮টা পর্যন্ত ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ছিল।
আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লি থেকে জয়পুর যান। সেখান থেকে তিনি যান আজমির শরীফে। এরপর বিকালে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশে জয়পুর ছাড়েন।
এর আগে, গত ৫ সেপ্টেম্বর চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লি পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে তাকে লাল গালিচা সংর্বধনা দেওয়া হয়। ওই দিনই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর মৌর্য্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।
সফরের দ্বিতীয় দিনে শেখ হাসিনা হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও একান্ত বৈঠক করেন। মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান এবং তাকে আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর অভিন্ন সীমান্ত নদী কুশিয়ারা থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারসহ ভারতের সঙ্গে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এ ছাড়া দুই প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের যৌথ উদ্যোগের বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে খুলনার রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। পরে যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশি পণ্য তৃতীয় কোনো দেশের রপ্তানির জন্য ফ্রি ট্রানজিটের প্রস্তাব দেয় ভারত। শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
একই দিন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জাগদীপ ধনখারের সঙ্গে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন শেখ হাসিনা এবং রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।
৭ সেপ্টেম্বর ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন।
Leave a Reply