এইমুহুর্তে যে কয়টি সিনেমা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে তার মধ্যে একটি পরিচালক ওম রাউতের ‘আদিপুরুষ’ একটি। ছবিটি নিয়ে শুরু থেকেই জল্পনার শেষ নেই। এক তো পরপর একগুচ্ছ ফ্লপ দেওয়ার পর এই ছবি নিয়ে বুকে বল বাঁধছে প্রভাস সহ অভিনেতার ভক্তমহল। অপরদিকে হিন্দু পৌরাণিক মহাকাব্য রামায়ণের উপর ভিত্তি করে নির্মিত এই ছবি নিয়ে ভারতীয়দের উত্তেজনা তুঙ্গে। তাই সবে মিলিয়ে প্রত্যাশা ভালোই।
ওম প্রকাশ আগে তিনি তানাজির মতো জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি পরিচালনা করেছেন। তাই তার থেকেও প্রত্যাশা কম ছিলোন সকলের। কিন্তু সেই প্রত্যাশা কি তিনি পূরণ করতে পারলেন? আসলে সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে ‘আদিপুরুষ’-র টিজার। আর তারপর থেকেই চর্চা তুঙ্গে। কেউ বলছে টিজার বেশ ভালোই আর কেউ কেউ বলছে বড্ডো নিম্নমানের গ্রাফিক্স ব্যবহার করা হয়েছে এতে। সবে মিলিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া এখন বেশ সরগরম।
ওম রাউত পরিচালিত এই ছবিতে রামচন্দ্রের ভূমিকায় প্রভাস, ‘সীতা’ কৃতী স্যানন এবং লঙ্কেশের চরিত্রে অভিনয় করবেন সইফ আলি খান। ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের টিজার জুড়ে শুধুই তিন তারকা। টিজারে দেখা যাচ্ছে, সমুদ্রগর্ভে ধ্যানমগ্ন রাম। এদিকে চারিপাশে শত্রুর পদধ্বনি। তির-ধনুক নিয়েই দুষ্টদমনে নেমেছেন তিনি। রাম তার কয়েকটা তীর বের করছেন আর ঠিক সেই সময়ই দেখা যায় বরফ-নীল চোখের লঙ্কেশরূপী সইফকে। আর দেখা মেলে লক্ষ্মণ এবং রামচন্দ্রের বানর সেনাকে, দেখা মেলে সীতারও।
এতদূর অবদি সবই ঠিক থাকলেও দর্শকরা খুশি নয় ছবির ভিএফএক্স নিয়ে। অনেকের মতেই, ভিএফএক্সের কাজ নিয়ে মানুষের অনেক আশা ছিল। যেখানে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে রামায়ণের মতো লার্জার দ্যান লাইফ গল্পকে, সেখানে গ্রাফিক্সের কাজ হওয়া উচিত ছিল আরও ক্ষুরধার। কিন্তু ছবির টিজারে যা নজর এসেছে তার সাথে তুলনায় গেলে এর আগের বাহুবলী ছবির ভিএফএক্স অনেক ভালো ছিলো।
যদিও এটা কেবলই টিজার, মূল ছবির গ্রাফিক্স ঠিক কেমন হবে তার ছবি দেখলে তবেই বোঝা যাবে। এদিকে প্রভাসের সঙ্গে ছবি প্রসঙ্গে কথা বললে অভিনেতা জানান, ‘প্রত্যেকটা চরিত্রই নতুন একটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। কিন্তু এ ধরনের একটি চরিত্রে অভিনয় করতে পারা খুবই গর্বের। একই সঙ্গে অনেক দায়িত্বও এসে পড়ে। আশা করছি, আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মের এই ছবি ভালো লাগবে।’
প্রসঙ্গত, ‘আদিপুরুষ’ নিয়ে এতোটা হাইপের আরো একটা বিশেষ কারণ রয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ছবির শুটিং চলাকালীনই নাকি প্রবাস আর কৃতির রসায়ন গাঢ় হতে শুরু করেছে। একে অপরের বেশ ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছে দুই তারকা। কৃতির কথায়, প্রভাসের চোখে অদ্ভুত একটা সারল্য রয়েছে। ও যখন অভিনয় করে, ক্যামেরার দিকে তাকায়, তখন যেন চোখ দিয়েই অভিনয় করে দেয় সবটা। আমার মনে হয় প্রভাসকে এই চরিত্রটায় নেওয়া হয়েছে ওর সারল্যের জন্যই। ভীষণ ভালো কাজ করেছে প্রভাস।’ এখন আসল বিষয় কি সে তো সময়ই বলবে।
Leave a Reply