রবিবার থেকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের মিশন শুরু হবে ২৪ অক্টোবর। এমনিতেই এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নড়বড়ে, তার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার কঠিন কন্ডিশনে এখন অব্দি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের। আজ (শনিবার) আইসিসির ক্যাপ্টেন ফটোসেশনে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে না খেলার আক্ষেপ প্রকাশ পেলো সাকিবের কণ্ঠে।
২০০৬ সালে কুড়ি ওভার ক্রিকেটের যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ থেকেই এই ফরম্যাটে সঙ্গী সাকিব। লম্বা সময় ধরে এই ফরম্যাট খেললেও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই কখনও টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পাননি সাকিব। অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বিগ ব্যাশে এক মৌসুম খেলেছেন। কিন্তু দেশের জার্সিতে মাঠে নামার আনন্দ কি আর কিছুতে আছে?
আক্ষেপ-হতাশা সঙ্গী করে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টাচার্চ থেকে শুক্রবার মেলবোর্নের উদ্দেশে রওনা হন সাকিব। মেলবোর্নে আজ ছিল বিশ্বকাপে অংশ নিতে আসা ১৬ দলের অধিনায়কের সাক্ষাৎপর্ব। এখানে হাসি-আড্ডায় কেটেছে তাদের সময়। পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের জন্মদিনের কেকও কাটা হয় এই মঞ্চে।
সেখানেই সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল বিশ্বকাপে নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে। সাকিব জানালেন, ‘আমি মনে করি, আমরা উদ্দীপ্ত দল পেয়েছি। যারা অনেকেই নতুন। তাদের জন্য এটা ভালো অভিজ্ঞতা হবে। আমরা সবাই প্রথমবার অস্ট্রেলিয়াতে টি-টোয়েন্টি খেলতে এসেছি। আমিসহ। এজন্য আমাদের কাছে সব কিছুই নতুন।’
তখন প্রশ্নকর্তা বলে ওঠেন, ‘আমার আসলে জানা ছিল না আপনি অস্ট্রেলিয়াতে কখনও টি-টোয়েন্টি খেলেননি!’ মুখে এক চিলতে হাসি নিয়ে সাকিবের ঝটপট উত্তর, ‘হ্যাঁ, আমি ১৫ বছর ধরে খেলছি।’
এরপর নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে সাকিব আরও বলেছেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। ক্রাইস্টচার্চে আমরা দুটি ভালো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে চারটি ম্যাচ খেলেছি। অস্ট্রেলিয়াতে ভালো পারফর্ম করতে হলে আমাদের কী করতে হবে সে সম্পর্কে অবগত হয়েছি। আমি মনে করি আমরা ভালো করার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছি।’
সাকিব মেলবোর্নে প্রেসমিট সামলাচ্ছেন। অন্যদিকে ব্রিসবেনে পা রেখেছেন বাংলাদেশের অন্য ক্রিকেটাররা। ১৭ অক্টোবর আফগানিস্তান ও ১৯ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ২৪ অক্টোবর হোবার্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ প্রথম রাউন্ডের ‘এ’ গ্রুপের রানার্স-আপ হওয়া দল। ২৭ অক্টোবর সিডনিতে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ব্রিসবেনের গ্যাবায় ৩০ অক্টোবর প্রথম রাউন্ডের ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে খেলবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। এরপর অ্যাডিলেডে হবে বাংলাদেশের শেষ দুটি ম্যাচ। ২ নভেম্বর ভারত পরীক্ষার পর ৬ নভেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়বে সাকিবরা।
সুপার টুয়েলভ শেষে সিডনিতে ৯ নভেম্বর হবে প্রথম সেমিফাইনাল। পরদিন দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ভেন্যু অ্যাডিলেড। আর ১৩ নভেম্বর মেলবোর্ন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপের ফাইনাল।
Leave a Reply