যুদ্ধংদেহী ভাব নিয়ে যেসব দেশ রাস্তায় নেমেছে তাদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধটা বন্ধ করতে হবে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। মানুষকে বাঁচার সুযোগ দিতে হবে। জীবন মান ধরে রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘পায়রা বন্দরের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন’ অনুষ্ঠানে সরকার প্রধান এ কথা বলেন।
গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধন করেন। পায়রা বন্দর, কলাপাড়া, পটুয়াখালী অংশে উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য শাজাহান খান ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।
বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শুধু বাংলাদেশ না সারা বিশ্বে জ্বালানি সংকট চলছে। বাংলাদেশ এই সংকটের বাইরে নয়।
প্রথম টার্মিনাল, ছয় লেনের মহাসড়ক ও সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে পায়রা সমুদ্রবন্দরে কন্টেইনার বা বাল্ক কার্গো বহনকারী মোট তিনটি বিদেশী জাহাজ একসঙ্গে ভিড়তে পারবে। টার্মিনালটির ব্যয় হবে চার হাজার পাঁচ শ’ কোটি টাকা এবং এটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে চালু হবে।
ছয় দশমিক ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ছয় লেনের সংযোগ সড়কটি সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ (আরএইচডি) তৈরি করছে। ৬৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সড়কটি যান চলাচলের জন্যও খুলে দেয়া হবে।
পায়রা সমুদ্রবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য আন্ধারমানিক নদীর ওপর একটি এক হাজার ১৮০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। সেতুটিতে ব্যয় হবে ৭৮০ কোটি টাকা এবং আড়াই বছরের মধ্যে এটি নির্মাণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালের ১৯ নভেমবর পায়রা সমুদ্রবন্দর উদ্বোধন করেন।
Leave a Reply