চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে শুক্রবার মধ্যরাতে। তাই রাত ১২টার পর থেকে সাগরে মাছ ধরা আবারো শুরু হবে। এতে উপজেলার উপকূলীয় বিভিন্ন জেলেপাড়ার পরিবারগুলোর মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। গত ২২দিন ধরে নির্জীব থাকা জেলে পাড়ায় আগের চিরচেনা প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
জানা যায়, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হওয়ায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মাছ শিকারে ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা ছিল। এ সময় কর্মহীন জেলেদের ২৫ কেজি করে চাল সহায়তা দেয়ার কথা থাকলেও ২০ দিনের সময় এক হাজার ৫০০ জেলেকে চাউল দেয়া হয়েছে। অথচ এখানে নিবন্ধিত জেলে রয়েছে দু’হাজার ২৬ জন।
মিরসরাই উপজেলা মৎস্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলায় দু’হাজার ২৬ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। এছাড়া চলতি বছর প্রায় ৬০০ জন জেলে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় জেলেরা সাগরে মাছ আহরণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
সাহেরখালী ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকার শ্রীধাম জলদাশ বলেন, ‘মিরসরাই উপজেলায় অনেক জেলে রয়েছে। নিবন্ধিত হয়েছে কিছু সংখ্যক। যারা নিবন্ধিত করেছে তারাও ঠিকমতো নিষেধাজ্ঞার সময় সুযোগ-সুবিধা পাননি। বেশির ভাগ জেলের পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কেটেছে।’
ডোমখালী এলাকার অরুণ জলদাশ বলেন, ‘২২ দিন পর নিষেধাজ্ঞা শেষে জলেদের কিছুটা উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকলেও পাশাপাশি ঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে। অনেকের ঋণ রয়েছে, কিন্তু ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। এখন মাছ ধরে নিজেও চলতে হবে, ঋণও পরিশোধ করতে হবে।’
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ বলেন, ‘ইলিশের প্রজননকালীন ২২ দিন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বর্তমানে বঙ্গোপসাগর মাছের উৎপাদন বাড়ছে। এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে পারলে বঙ্গোপসাগর একটি সমৃদ্ধ মৎস্য ভাণ্ডারে পরিণত হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শুক্রবার রাত ১২টায় ২২ দিনের সাগরে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলেরা প্রস্তুতি নিয়েছে।’
Leave a Reply