1. admin@thedailypadma.com : admin :
ফরিদপুরে ঔষধি গুন সমৃদ্ধ ‘ব্ল্যাক রাইস’ চাষে বাজিমাত করেছেন তরুন উদ্যোক্তা রন্টি - দ্য ডেইলি পদ্মা
বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন

ফরিদপুরে ঔষধি গুন সমৃদ্ধ ‘ব্ল্যাক রাইস’ চাষে বাজিমাত করেছেন তরুন উদ্যোক্তা রন্টি

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২
  • ১৩২ Time View

মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর : ফরিদপুরে ঔষধি ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ‘ব্ল্যাক রাইস’ চাষ করে বাজিমাত করেছেন তরুন কৃষি উদ্যোক্তা হাসিবুল হাসান রন্টি। প্রায় দুই বিঘা জমিতে চাষ করে বাম্পার ফলন হয়েছে তার।

ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া থেকে ব্ল্যাক রাইচ ধানের বীজ সংগ্রহ করেছেন তিনি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তা ও সহযোগিতায় দুই বিঘা জমিতে ৬০ মন ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।

ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নে চাষ করা হয়েছে এ ধান। হাসিবুল হাসান রন্টির বাড়ি ফরিদপুর শহরের আলীপুর।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এরই মধ্যে কৃষকদের হাতে ব্ল্যাক রাইচ ধান পৌছে দিতে তার এ ধানকে বীজ হিসেবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করবে বলে জানিয়েছেন।

ব্ল্যাক রাইচ পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ও বাজারে দাম বেশি হওয়ায় দিন দিন কালো ধানের আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষিরা। যা ‘কালো ধান’ নামে পরিচিত।

এক সময় চীনের রাজা-বাদশাহদের সুস্বাস্থ্যের জন্য কালো ধান চাষ হতো। তবে এ ধান প্রজাদের জন্য ছিল নিষিদ্ধ। ঔষধি গুণাগুণের কারণে এই ধান চাষে ইচ্ছা জাগে হাসিবুল হাসান রন্টির।

কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, ইউটিউবে প্রথম এই ধানের চাষাবাদের বিষয়ে দেখেন ও  বিস্তারিত জানেন। পরে অনলাইনে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার বীজ সংগ্রহ করেন।

২ হাজার টাকা কেজি দরে দুই কেজি ব্ল্যাক রাইচ ও দুই কেজি গোল্ডেন ব্ল্যাক রাইচ ধানের বীজ সংগ্রহ করেন।

তিনি বলেন, ধান সংগ্রহ করার পর প্রথমে বীজতলা তৈরি করি। সেখানে একটি একটি করে ধান বপন করে চারা তৈরি করতে বীজতলা করি। প্রায় প্রতিটা ধান থেকে অঙ্কুর বের হয়।

২ সপ্তাহ পর বীজ তলা থেকে চারা সংগ্রহ করে এক বিঘা জমিতে ব্ল্যাক রাইচ ও এক বিঘা জমিতে গোল্ডেন ব্ল্যাক রাইচ ধানের চারা রোপন করি।

ব্ল্যাক রাইচের চালটা একটু মোটা ও গোল্ডেন ব্ল্যাক রাইচের চাল চিকন।

প্রায় ৭৫ দিন হল ধান লাগিয়েছি। আর দু সপ্তহের মধ্যে ধান কাটতে পারবো।

তিনি বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সব সময় পর্যবেক্ষেন ও সহায়তা করছে। তারা আমার এ ধানকে বীজ হিসেবে সংগ্রহ করবেন বলে জানিয়েছেন।

এছাড়াও অন্যান্য কৃষকদের কাছ থেকেও প্রচুর সারা পেয়েছি। এরই মধ্যে আমার কাছে ১ হাজার টাকা কেজি দরে ধান বীজ হিসেবে নেওয়ার জন্য কয়েকজন কৃষক অর্ডার করে রেখেছে।

আমি এ ধান চাষের পাশাপাশি সৌদিআরবের খেজুর বাগান, মাল্টার বাগান করেছি। এছাড়াও আমার একটি গরুর ফার্ম আছে। সেখানেও আমি সফলতার মুখ দেখেছি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইলিয়াস শেখ বলেন, রন্টির ব্ল্যাক রাইচ ধানের ক্ষেতের ফলন খুবই ভাল হয়েছে। আমরা নিবিড় পরিচর্যা করে যাচ্ছি তার ক্ষেতে। এর আগে কিছু পোকার আক্রমণ হয়েছিল। তা ঔষধ প্রয়োগের ঠিক হয়ে গেছে। এ ধানের ফলনও বেশি। অন্যান্য ধানে বিঘা প্রতি বিশ মণ হলে এ ধান হয় ২৫-৩০ মণ।

তিনি বলেন,  এ ধান এ এলাকায় নতুন। কিন্তু ঔষধি ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ হওয়ায় এ ধান চাষে কৃষককে উদ্ভুদ্ধ করছি। আর রন্টির এ ধানকে বীজ হিসেবে গ্রহন করে এ অঞ্চল ও আশেপাশের অঞ্চলের কৃষককে সরবরাহ করবো। এর ফলে কৃষক কম দামে এ ধান সংগ্রহ করতে পারবে। এই ধানের চালের ভাত খেলে অনেক রোগবালাই কমে যায়।

তিনি আরো বলেন, গোল্ডেন ব্ল্যাক রাইচ ধানগাছগুলো বেশ সুন্দর এবং অন্যান্য ধানগাছের মতোই সবুজ। শুধু ধানগুলো কালো। আর এই কালো ধান থেকেই বের হবে কালো রংয়ের চাল। আর ব্ল্যাক রাইচ ধানের গাছও কালো। ধানের বাইল গুলিও কালো। চালও কালো।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ জিয়াউল হক বলেন, সাধারণ ধানের চেয়ে কালো ধানের দাম ও চাহিদা অনেক বেশি। কালো ধানে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের রোগপ্রতিরাধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ফাইবার হার্টকে রাখে সুস্থ। এছাড়া ডায়াবেটিস, স্নায়ুরোগ ও বার্ধক্য প্রতিরোধক এই ধানের চাল।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews