1. admin@thedailypadma.com : admin :
ফরিদপুর বিভাগ না হলেও ফরিদপুরকে সাংগঠনিক বিভাগ ঘোষণা করেছে বিএনপি; সর্বোচ্চ শক্তি ও সমর্থন প্রকাশের চেষ্টা - দ্য ডেইলি পদ্মা
রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন

ফরিদপুর বিভাগ না হলেও ফরিদপুরকে সাংগঠনিক বিভাগ ঘোষণা করেছে বিএনপি; সর্বোচ্চ শক্তি ও সমর্থন প্রকাশের চেষ্টা

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২
  • ১২৯ Time View

প্রতিদিনই জেলা-মহানগর বিএনপি ছাড়াও বিএনপির সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে একাধিক প্রস্তুতি সভা হচ্ছে এবং পাড়া-মহল্লা ও হাটেঘাটে লিফলেট বিতরণ চলছে। এই গণসমাবেশের মাধ্যমে বিএনপি ফরিদপুরে তাদের রাজনৈতিক শক্তি ও সমর্থন প্রকাশের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

বিভাগীয় সমাবেশ করতে ফরিদপুরে বড় ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। অন্য বিভাগে কর্মী যাতায়াতে বাধা তৈরি হলেও এবার ভিন্ন কৌশল নেয়ায় সেই সংকট কেটে যাবে বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।

আসন্ন ১২ নভেম্বর হবে বিএনপির এই ষষ্ঠ গণসমাবেশ। এর আগে পাঁচটি বিভাগে সমাবেশ শেষ করেছে তারা। ফরিদপুর বিভাগ না হলেও ফরিদপুরকে সাংগঠনিক বিভাগ ঘোষণা করেছে বিএনপি।

আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে সারা দেশে পরিচিত বৃহত্তর ফরিদপুর। তবে বৃহত্তর ফরিদপুরের পরিস্থিতি এখন আর আগের মতো নেই বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা।

দ্রব্যমূল্যের ঊধ্র্বগতি, লোডশেডিং, দুর্নীতি, মামলা-হামলা, গুম, হত্যা, ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে সারা দেশে হচ্ছে বিভাগীয় সমাবেশ।

ফরিদপুরে বিএনপির এই বিভাগীয় গণসমাবেশের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। গণসমাবেশ সফল করতে অভ্যর্থনা উপকমিটি, ব্যবস্থাপনা উপকমিটি, মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটি, প্রচার উপকমিটি, আপ্যায়ন উপকমিটি, মিডিয়া উপকমিটি, মেডিকেল উপকমিটি ও শৃঙ্খলা উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রতিদিনই জেলা-মহানগর বিএনপি ছাড়াও বিএনপি সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে একাধিক প্রস্তুতি সভা হচ্ছে এবং পাড়া-মহল্লা ও হাটেঘাটে লিফলেট বিতরণ চলছে। এই গণসমাবেশের মাধ্যমে বিএনপি ফরিদপুরে তাদের রাজনৈতিক শক্তি ও সমর্থন প্রকাশের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, ফরিদপুরের সমাবেশের জন্য প্রশাসন শহরের বাইরে ৬ কিলোমিটার দূরে কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউটে গণসমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। বিএনপি প্রশাসনের প্রস্তাব মেনে নিয়ে এই মাঠ নিয়মিত পরিদর্শন করছে।

গণসমাবেশ প্রস্তুত কমিটির সমন্বয়ক শামা ওবায়েদ বলেন, ‘১২ নভেম্বরের এই গণসমাবেশকে ঘিরে আগেভাগেই সরকারি মহল পরিবহন ধর্মঘটসহ নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তবে পদ্মা, গড়াই, মধুমতী ও আড়িয়াল খাঁবেষ্টিত বৃহত্তর ফরিদপুরের প্রবেশপথ অসংখ্য। তাই অন্য বিভাগের মতো বিএনপির সমাবেশ ঠেকানোর কৌশল এখানে কার্যকর করা সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘পদ্মা পেরোলেই বৃহত্তর ঢাকার মানিকগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলা। দুটিই বিএনপির দুর্ভেদ্য ঘাঁটি। কাছেই রয়েছে ঢাকার দুই উপজেলা ধামরাই ও সাভার। যেখানে আওয়ামী লীগের অবস্থা সব সময়ই দুর্বল। আবার অন্য পাড়ে রয়েছে বৃহত্তর যশোর, খুলনা ও কুষ্টিয়া। এত কাছে এসব এলাকার বিপুলসংখ্যক মানুষ যোগ দেবে ফরিদপুরের সমাবেশে।

‘দেশের মধ্যবর্তী জেলায় এই গণসমাবেশ হওয়ায় শুধু ফরিদপুরই নয়, আশপাশের জেলার লোকেরাও ব্যাপক হারে যোগ দেবেন। তাই সব দিক বিবেচনায় ফরিদপুরের এই গণসমাবেশ হবে স্মরণকালের সবচেয়ে বৃহৎ গণসমাবেশ।’

বিএনপির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘গত ১৪টি বছর সারা দেশের মতো ফরিদপুরেও মামলা-হামলা দিয়ে নেতা-কর্মীদের একরকম পঙ্গু করে রাখা হয়েছিল। সরকারি দল আওয়ামী লীগের বাধা পেরিয়েও আন্দোলন সংগ্রামে ফরিদপুরে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন মাঠে ছিল। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও তারা অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। আবার উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তবে ফিনিক্স পাখির মতো প্রতিবারই আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে জেগে উঠেছি। এবার তার প্রমাণ হবে এই গণসমাবেশে।’

মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেন, ‘যেখানেই হোক এই সমাবেশে তিন থেকে চার লাখ লোকের সমাগম হবে এমনটিই ধারণা করা হচ্ছে। সে লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ফরিদপুরে ছাত্রদল সব সময়ই শক্তিশালী। পাশাপাশি যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, শ্রমিক দল ও মহিলা দলসহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরাও সরব হয়ে উঠেছেন।’

ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা বলেন, ‘গণসমাবেশ সফল করতে গ্রাম থেকে গ্রাম চষে বেড়িয়ে প্রস্তুতি সভা ও শহরে সমন্বয় সভা করে ক্লান্তিহীন সময় কাটাচ্ছেন আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। সরকারের পক্ষ থেকে সবধরনের বাধা তৈরির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা যখন বাস ট্রাক মালিকদের সঙ্গে কথা বলি, তখন তারা বলেন ওপরের নির্দেশে আমারা বাস ট্রাক বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছি।’

বিএনপির বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের (রুকসু) সাবেক ভিপি খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক বলেন, ‘এর আগে দেশের পাঁচটি বিভাগীয় শহরে বাস-লঞ্চ ও তিন চাকার গাড়ি বন্ধ করে কোনো লাভ হয়নি, ফরিদপুরে আরো হবে না। আর ফরিদপুরের সমাবেশে লোক ঠেকাতে বন্ধ করতে হবে তিন বিভাগের পরিবহন-ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল। যদি তাই হয় তাহলে নৌকা ট্রলারে পদ্মা পার হবেন সবাই। প্রয়োজনে নদী সাঁতরে, পায়ে হেঁটে নেতা-কর্মীরা আসবেন এই গণসমাবেশে।’ তথ্যসূত্র: নিউজবাংলা২৪

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews