ছাত্রলীগের যৌথ বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, এটা কি ছাত্রলীগ? কোনো শৃঙ্খলা নেই। জয়-লেখক (ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) এটা কী ছাত্রলীগ। পোস্টার নামাতে বললাম তারা নামায় না। এরা কারা আমি খোঁজ নিচ্ছি। এতো নেতা স্টেজে, তাহলে কর্মী কোথায়? এই ছাত্রলীগ চাই না। শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ এই ছাত্রলীগ না।
তিনি বলেন, মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ছাত্রলীগের যৌথ বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে নানকের মতো, আপনাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত, প্রেসিডিয়াম, সাবেক মন্ত্রী, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান, ছাত্রলীগের প্রাক্তণ সাধারণ সম্পাদক সময়ের অভাবে বক্তৃতা করতে পারেনি। আপনারা মাইক ধরলে ছাড়েন না।
তিনি আরও বলেন, এই ছাত্রলীগ আমরা চাই না। সুশৃঙ্খল করুন, সুসংগঠিত করুন। কথা শুনবে না, এই ছাত্রলীগ আমাদের দরকার নেই। অপকর্ম করবে এই ছাত্রলীগ দরকার নেই। দুর্নামের ধারা থেকে ছাত্রলীগকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে এটাই আজকে অঙ্গীকার।
কারা নির্যাতিত নেতা, আমাদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বক্তৃতা দিতে পারেননি। আমন্ত্রিত অনেকেই বক্তৃতা দিতে পারেননি। তাহলে দাওয়াত দিলেন কেন? একটু একটু করে বলতে পারলো না! আপনারা দুজনে ১ ঘণ্টা শেষ করলেন। মনে নেই, আজ শুক্রবার! লেখকের না হয় মনে নেই, জয়ের কি মনে ছিল না! এটা কোন ছাত্রলীগ, বিস্ময় প্রকাশ করেন কাদের।
কর্মীদের স্লোগানে বিরক্ত হয়ে তিনি বলেন, যার নামে স্লোগান হবে তাকে পদ দেওয়া হবে না।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।
Leave a Reply