এক মাস কারাগারে থাকার পর সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আদালতের নির্দেশে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটি সদস্য মির্জা আব্বাস।
রবিবার উচ্চ আদালত তাদেরকে জামিন দেয়। বিকেলে আইনজীবীরা জামিন আদেশের কপি হাতে পান। সেখান থেকে যান নিম্ন আদালতে। এরপর কেরানীগঞ্জ কারাগারের উদ্দেশে রওনা দেন।
মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আপিল বিভাগ মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন বহাল রেখে গত রবিবার আদেশ দিয়েছেন। সোমবার (৯ জানুয়ারি) তাদের জামিননামা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে জমা দেওয়া হয়। এরপর জামিননামা কারাগারে নেওয়া হবে।’
রবিবার পল্টন থানার মামলায় ফখরুল ও আব্বাসের জামিন বহাল রেখে আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ। একইসঙ্গে, মামলায় ফখরুল-আব্বাসের জামিননামা দাখিল না করতে চেম্বার আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা তুলে নেন আপিল বিভাগ। ফখরুল-আব্বাসের জামিন প্রশ্নে রুল ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
প্রসঙ্গত, ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে মির্জা ফখরুলকে তার উত্তরার বাসভবন থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের নিয়ে মিন্টু রোডে নিয়ে আসে গোয়েন্দা পুলিশ। পরের দিন নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে নেওয়া হয় মির্জা ফখরুলকে। আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়। একইসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়।
Leave a Reply