ওয়ানডে সিরিজে হারলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ। আজ তিন ম্যাচের শেষ খেলায় জয় পেলে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়বে ইংলিশরা।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এমন সমীকরণের ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ।
রনি তালুকদারকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ সূচনা করেছেন অভিজ্ঞ ওপেনার লিটন কুমার দাস। ওপেনিং জুটিতে তাড়া ৪৫ বলে ৫৫ রানের জুটি গড়েন। ২২ বলে ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৪ রান করে ফেরেন রনি।
এরপর ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নামা নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৫৮ বলে ৮৪ রানের জুটি গড়েন লিটন। এই জুটিতেই ক্যারিয়ারের ৬৮তম টি-টোয়েন্টিতে তুলে নেন নবম ফিফটি।
শুধু তাই নয় এদিন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৬৯ রানের।
৭৩ রানে লিটন আউট হওয়ার পর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটিতে প্রত্যাশিত রান করতে পারেননি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তারা ১৮ বলে মাত্র ১৯ রান করতে পারেন। বাংলাদেশের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১৫৮ রান।
লিটনের ব্যাটিং দেখে একসময় তার সেঞ্চুরিও অসম্ভব মনে হচ্ছিল না। তবে তার ৫৭ বলে ১০ চার ১ ছক্কায় ৭৩ রানের ইনিংস থামে ক্রিস জর্ডানের বলে ফিল সল্টের তালুবন্দি হয়ে। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তার ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। এরপর রান তোলার গতি কমে আসে। উইকেটে আসেন অধিনায়ক সাকিব। ব্যক্তিগত ৪০ রানে শান্তকে আম্পায়অর এলবিডাব্লিউ দিলেও তিনি রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। শেষদিকে বেশি রান ওঠেনি। হাতে ৮ উইকেট থাকলেও শেষ ৫ ওভারে আসে মাত্র ২৭ রান! বাংলাদেশ ২ উইকেটে ১৫৮ রান তোলে। শান্ত অপরাজিত থাকেন ৩৬ বলে ১ চার ২ ছক্কায় ৪৭* রানে আর সাকিব ৬ বলে ৪* রানে অপরাজিত থাকেন।
Leave a Reply