আজ ১৪ই মার্চ মঙ্গলবার বাংলার পল্লী কবি জসীমউদ্দীন এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, ফরিদপুরের আয়োজনে জসীম উদ্দীন এর বাড়ির আঙিনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এসময় জেলা পুলিশ ফরিদপুরের পক্ষ হতে কবি জসীম উদ্দীনের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। উক্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার, পিএএ, জেলা প্রশাসক, ফরিদপুর এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ বিন কালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ক্রাইম এন্ড অপস্, ফরীদপুর।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব সুমন রঞ্জন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল ফরিদপুরসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
পল্লীকবি ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামে মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পল্লীকবির পুরো নাম মোহাম্মাদ জসীম উদ্দীন মোল্যা। বাংলা সাহিত্যে তিনি পল্লী কবি হিসেবে পরিচিত।
রবীন্দ্র যুগের কবি হয়েও রবীন্দ্র প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থেকে পল্লী জীবনকে অবলম্বন করে জসীম উদ্দীন নির্মাণ করেছেন স্বকীয় এক কাব্যভুবন। তার সাধনায় খুলে গেছে বাংলা কবিতার নতুন এক দুয়ার। তার লেখা ‘কবর’ কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে এক অবিস্মরণীয় অবদান।
নকশী কাঁথার মাঠ ও সোজন বাদিয়ার ঘাট কবির শ্রেষ্ঠ দুটি রচনা। এ দুটি রচনা পৃথিবীর বহু ভাষায় অনুবাদ হয়েছে।
পল্লীকবি জসীম উদদীন শুধু একজন কবিই নন, তিনি একজন গীতিকার এবং একজন গান সংগ্রাহকও। জসীম উদ্দীন ১০ হাজারেরও বেশি লোকসংগীত সংগ্রহ করেন। তার সংকলিত এসব লোকসংগীতের বিশাল একটি অংশ জারিগান ও মুর্শিদা গানে স্থান পেয়েছে।
১৯৬৯ সালে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মান সূচক ডি লিট উপাধিতে ভূষিত করেন। এ ছাড়া রয়েছে একুশে পদক ১৯৭৬ ও স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার ১৯৭৮ (মরণোত্তর)।
১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ বাংলার এ পল্লীকবি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। কবির কবর কবিতা অনুযায়ী ডালিম গাছের তলায় কবিকে সমাহিত করা হয়।
Leave a Reply