চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় দুইশো মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে ৫৪ হাজারের নিচে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে জাপান। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে রাশিয়া, তাইওয়ান, চিলি ও পোল্যান্ড। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৮ কোটি ৩২ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৮ লাখ ২৬ হাজার।

রোববার (২৬ মার্চ) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৯৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ৫০০ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৮ লাখ ২৬ হাজার ৫২৪ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৯৬২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৩৬ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৮৮৩ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ৩৮২ জন এবং মারা গেছেন ৩৭ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ২৫ লাখ ৭৫ হাজার ২৭০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৪৬ জনের।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে জাপান। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ২৮৬ জন এবং মারা গেছেন ৪৪ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৪ লাখ ১৫ হাজার ৪৬১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭৩ হাজার ৭২৫ জন মারা গেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯০৪ জন এবং মারা গেছেন ৭ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৬০ লাখ ৮৯ হাজার ৭৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮৭ জন মারা গেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১০ হাজার ১৫৫ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৮৯৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৪ হাজার ২১৭ জনের। একইসময়ে পোল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৫৯ জন এবং মারা গেছেন ১৩ জন।

তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন এবং মারা গেছেন ২৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই ভূখণ্ডটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১৮ হাজার ৯৫৬ জন মারা গেছেন। একইসময়ে চিলিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৪ জন এবং মারা গেছেন ১৪ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।