প্রতিপক্ষ অনভিজ্ঞ, তাদের বোলিংও হচ্ছিল ধারহীন। বাংলাদেশের সুযোগ ছিল বিশাল পুঁজি গড়ার। মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে সেই আভাস মিললেও শেষ পর্যন্ত সাড়ে তিনশো ছাড়িয়েই থেমেছে বাংলাদেশ। বুধবার মিরপুরে একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে গিয়ে ৩৬৯ রানে অলআউট হয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। আয়ারল্যান্ডের ২১৪ রান ছাপিয়ে ১৫৫ রানের লিড নিয়েছে স্বাগতিকরা।
এর আগে সফরকারীরা তাদের প্রথম ইনিংসে ২১৪ রান করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে ৩৬৯ রান করতে সক্ষম হয়। ৮০ দশমিক ৩ ওভারে এই রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
দিনের শুরুতেই মমিনুলকে হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে ব্যাট হাতে আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গেছে সাকিব আল হাসানকে। অপরপ্রান্তে কিছুটা ধীরগতিতে খেলেছেন মুশফিক। সাকিব তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩১তম অর্ধশত তুলে নেন এদিন। এর জন্য খেলেছেন ৪৫ বল। কিন্তু ১৩ রানের আক্ষেপ থেকে যায় তার। ১৩টি রান করতে পারলে তার সেঞ্চুরিখরা কেটে যেত।
অপরদিকে ২৬তম অর্ধশতক তুলে নেয়ার পর শতকও পূর্ণ করেন মুশফিক। তবে শেষ পর্যন্ত ১২৬ রানের সাহসী ইনিংস খেলে বিদায় নেন মুশফিক। মূলত সাবিক ও মুশফিকের ১৯৯ রানের বড় জুটির কারণেই বড় সংগ্রহ দাঁড়ায় স্বাগতিকরা।
১২৬ রান করতে ১৬৬ বল খরচ করতে হয় মুশফিককে। টেস্ট ক্রিকেটে এটি তার দ্রুততম সেঞ্চুরি। ১২৬ রানের মধ্যে ১৫টি চার এবং ১টি ছয় মেরেছেন মুশফিক। সাকিব চলে যাওয়ার পর মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
মুশফিক চলে যাওয়ার পর মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তাইজুল। এরপর শরিফুল ও এবাদত হোসেন আসা যাওয়ার মধ্যে থাকেন। তবে এর মধ্যেই নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মিরাজ। ৮০ বলে ৫৫ রান করে আউট হন তিনি। অবশ্য শেষ জুটি অর্থাৎ মিরাজ ও খালেদ আহমেদ দলীয় সংগ্রহকে বাড়িয়ে নিতে বেশ খানিকটা সময় ক্রিজে অবস্থান করেন। শেষ পর্যন্ত মিরাজের আউটে ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। তার সঙ্গী খালেদ ১১ বলে ৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।
<p>সম্পাদক: মো:রোকন উদ্দিন রুমন </p><p>লেখক: আবদুল্লাহ যায়েদ তানজিন </p><p>উপদেষ্টা: মো: মোশাররফ হোসেন </p><p>thedailypadma@gmail.com<br></p><p> বার্তা কার্যালয়: দক্ষিন কমলাপুর,ফরিদপুর সদর, ফরিদপুর। </p><p>মোবাইল:০১৭১১১৪৮৯৫১, ০১৯১১৩০৩২২৯ ইমেইল: thepadma24@gmail.com<br></p>
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।