বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় দুই পক্ষের গোলাগুলিতে আটজন নিহতের ঘটনায় ১৯৫টি পরিবার আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছে। এর মধ্যে রোয়াংছড়ি সদরে এসে রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে ১৭৫টি পরিবার। অপরদিকে, খামতামপাড়ার পার্শ্ববর্তী রুমা উপজেলার অংশে ২০টি পরিবার রুমা উপজেলা সদরের বম কমিউনিটি হল রুমে আশ্রয় নিয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (এপ্রিল) রাতে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস-সংস্কার) সদস্যদের ব্যাপক গোলাগুলি হয়। পরে শুক্রবার সকালে সেখানে জলপাই রঙের পোশাক পরিহিত আটজনের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। রোয়াংছড়ি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
তবে পুলিশের দাবি, পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কেএনএফ ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ-সংস্কার) মধ্যে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটেছে।
কেএনএফ ‘ভা তে কুকি’ নামে একটি ফেসবুক আইডিতে নিহতদের এনআইডি কার্ড পোস্ট করে দাবি করা হয়েছে, তাদের সাতজন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত সাতজন হলেন- ভান দুহ বম, সাং খুম বম, সান ফির থাং বম, বয় রেম বম, জাহিম বম, লাল লিয়ান ঙাক বম ও লাল ঠা জার বম। তারা সবাই খামতাংপাড়ার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। তবে তারা নিহত অপরজনের পরিচয় দিতে পারেনি।
Leave a Reply