ফরিদপুরে রাজেন্দ্র কলেজের অনার্স (উদ্ভিদবিদ্যা) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্রান্ত মিত্র (২৩) হত্যাকাণ্ডের দু’দিন পর থানায় মামলা করা হয়েছে। তবে এখনো হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি।
বুধবার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাতে প্রান্তের বাবা বিকাশ মিত্র অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় এ মামলা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম হাসান বলেন, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে জোর চেষ্টা চলছে। পুলিশের একাধিক টিম সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত করছে। তথ্য প্রযুক্তি ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তারা খুনিদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, ‘প্রান্ত হত্যা মামলায় বুধবার রাতে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্তে পুলিশ ও ডিবির একাধিক টিম কাজ করছে। আশা করছি শিগগিরই জড়িতদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন বলেন, জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে নিরলসভাবে কাজ করছে। শহরের সংশ্লিষ্ট এলাকার সকল সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। একই সাথে তথ্য প্রযুক্তিও ব্যবহার করে জড়িতদের শনাক্তের জোর চেষ্টা চলছে।
সোমবার (২৫ জুলাই) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হৃদয় নামে এক বন্ধু প্রান্তকে মোবাইলে ফোন দিয়ে বোনের সিজার অপারেশনের জন্য রক্ত লাগবে বলে জানান। পরে শহরের ওয়ারলেসপাড়ার বাসা থেকে রিকশায় করে শিশু হাসপাতালের উদ্দেশে যাওয়ার পথে ছুরিকাঘাতে নিহত হন প্রান্ত। ওই ঘটনার পর প্রান্তর বন্ধু হৃদয়কে থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। নিহত প্রান্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি ফরিদপুরে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তার বাড়ি রাজবাড়ীর পাচুরিয়ায়। তার বাবা একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন এবং তারা পরিবার নিয়ে ফরিদপুরে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
Leave a Reply