
কিছুদিন স্বস্তিতে থাকলেও আবার অস্থির হয়ে উঠেছে নিত্যপণ্যের বাজার। বেড়েছে বিভিন্ন পণ্যের দাম। নিত্যপণ্যের চড়া দামের পেছনে বিক্রেতাদের কথার অন্ত নেই। এদিকে বাজারে গিয়ে অসহায় অবস্থায় ক্রেতারা।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের চড়া দামই লক্ষ্য করা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম ৫৫ টাকা। অর্থাৎ প্রতি পিস ডিম ক্রেতাকে কিনতে হচ্ছে ১৪ টাকায়। বাড়ছে পেঁয়াজের দামও।
এ বিষয়ে ডিম বিক্রেতা কায়সার বলেন, আড়ৎ থেকে প্রতি পিস ডিম তিনি কিনে এনেছেন ১৩ টাকা ২০ পয়সা দরে। তিনি দাম বাড়ার দায় দিলেন আড়ৎদাড়ের ওপর।
পেঁয়াজের বাজারে দাম বৃদ্ধির ব্যস্ততা যেন একটু বেশি। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ২০ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। একই হারে বেড়ে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
শুধু ডিম ও পেঁয়াজ নয়, বাজারে চড়া সবজি, মাছ থেকে শুরু করে সকল পণ্যই।
বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে, আদার কেজি ৩৬০ টাকা, রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৮০ টাকা দরে।
বাজারে প্রতি কেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা। পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, দুন্দল ৬০ টাকা, বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকা পিস, কচুর মুখী ৮০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৩০ টাকা।
ভরা মৌসুমেও চড়া ইলিশের দাম। আধা কেজি ওজনের ইলিশের কেজি হাজার টাকার বেশি। ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে কেজি প্রতি ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা। এক কেজির কাছাকাছি ওজনের ইলিশের জন্য কেজি প্রতি গুনতে হচ্ছে ১৭০০ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত।
এছাড়া বাজারে চিংড়ি গুড়া ও বড় ৮০০ টাকা কেজি, সুরমা মাছের কেজি ২৬০ টাকা কেজি, ৩৫০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা কেজি দরে। ট্যাংরা মাছ ৫০০ টাকা কেজি। মৃগেল মাছের কেজি ২৪০ টাকা। পাঙ্গাসের কেজি ১৮০ টাকা। বাতাসি মাছের কেজি ২৮০ টাকা কেজি।
বাজারে গরুর মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা, ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে হাজার থেকে এগারোশো টাকা কেজি দরে। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। কেজি প্রতি গুনতে হচ্ছে ১৯০ টাকা।
Leave a Reply