২৮৭ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য নিয়ে শুরুতে দেখেশুনে খেলার চেষ্টা করেন নেদারল্যান্ডসের ব্যাটাররা। অর্ধশতক করতে ২ উইকেট হারালেও বিক্রমজিৎ সিংয়ের ফিফটিতে ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১২০ রান তুলে ফেলে ডাচ ব্যাটাররা। এ সময় অনেকটা ভয় পেয়েছিল পাকিস্তান শিবির!
তবে বোলাররা দারুণভাবে লড়াইয়ে ফিরিয়েছেন দলকে, হঠাৎ ধস নেমেছে ডাচদের ইনিংসে। তাদের শেষ ভরসা হয়ে ছিলেন বেস ডি লেডে। তিনিও ৬৮ বলে ৬ চার আর ২ ছক্কায় ৬৭ রান করে মোহাম্মদ নওয়াজের বলে বোল্ড হয়েছেন। ডাচ ব্যাটারদের ঠিক ‘গলার কাঁটা’ হয়ে উঠতে দেননি হারিস রউফ ও হাসান আলীরা। এতে ৮১ রানের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করল ম্যান ইন গ্রিনরা। তবে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ডাচদের সংগ্রহ ৪১ ওভারে ২০৫ রান।
রান তাড়ায় নামা নেদারল্যান্ডসের ম্যাক্স ও'দাউদকে ফিরিয়ে ২৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন হাসান আলি। এরপরও ডাচরা মোটামুটি দেখেশুনে এগোচ্ছিল। কিন্তু ১২তম ওভারে বল হাতে নিয়েই দলকে উইকেট এনে দেন ইফতিখার আহমেদ। কলিন আকারম্যান (২১ বলে ১৭) সুইপের লোভ করতে গেয়ে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তৃতীয় উইকেটে বেস ডি লেডে আর বিক্রমজিৎ গড়েন ৭৬ বলে ৭০ রানের লড়াকু জুটি। কিন্তু ২৪তম ওভারে বিক্রমজিৎ (৬৭ বলে ৫২) শাদাব খানের শিকার হওয়ার পর ব্যাকফুটে চলে যায় নেদারল্যান্ডস।
২৬তম ওভারে এসে তিন বলের মধ্যে দুই ডাচ ব্যাটারকে সাজঘরের পথ দেখান হারিস রউফ। তেজানিদামানুরুকে ৫ আর অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসকে ০ রানে ফেরত পাঠান পাকিস্তানি গতিতারকা। সেখান থেকে বেস ডি লেডের লড়াই। কিন্তু সেই লড়াই দলকে বড় হার থেকে বাঁচাতে পারেনি। ৪১ ওভারে ২০৫ রানে অলআউট হয়েছে নেদারল্যান্ডস। পাকিস্তানের হারিস রউফ ৪৩ রানে নেন ৩টি উইকেট। ৩৩ রানে ২ উইকেট শিকার হাসান আলির।
এর আগে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভারে ২৮৬ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
হায়দারাবাদে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর দল পাকিস্তান। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই ১২ রান করা ফখর জামানকে ফেরান ফন বিক। পাওয়ার প্লের শেষ দুই ওভারে বাবর আজম ও ইমাম উল হককে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান যথাক্রমে অ্যাকারম্যান ও ফন মিকারেন।
৯.৩ ওভাওে ৩৮ রানের মাথায় টপ অর্ডারের প্রথম তিন ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়া পাকিস্তানের ইনিংসের হাল ধরেন রিজওয়ান ও শাকিল। দুজনের ১২৮ রানের জুটিতে বিপদ সামাল দেয় পাকরা।
চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে দলীয় ১৫৮ রানের মাথায় আরিয়ান দত্তের বলে সাকিব জুলফিকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন শাকিল। তার মাত্র ৫২ বলে ৬৮ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯টি চার ও ১ ছয়ে।
শাকিলের বিদায়ের পর বাস ডি লিডের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ৭৫ বলে ৮ চারে ৬৮ রান করেন রিজওয়ান। এরপর বাস ডি লিডের শিকার হয়ে দ্রুত ফিরে যান ইফতেখারও।
১৮৮ রানেই ৬ উইকেট হারানো পাকিস্তানের ইনিংস পেরোয় মোহাম্মদ নাওয়াজ ও শাদাব খানের কল্যাণে। ডি লিডের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে শাদাব করেন ৩৪ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ৩২ রান। পরের বলেই হাসান আলীকে লেগ বিফোরের ফাদে ফেলেন ডি লিড। হ্যাটট্রিক বলটি কোনমতে ঠেকিয়ে দেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। ৩৯ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন নাওয়াজও।
<p>সম্পাদক: মো:রোকন উদ্দিন রুমন </p><p>লেখক: আবদুল্লাহ যায়েদ তানজিন </p><p>উপদেষ্টা: মো: মোশাররফ হোসেন </p><p>thedailypadma@gmail.com<br></p><p> বার্তা কার্যালয়: দক্ষিন কমলাপুর,ফরিদপুর সদর, ফরিদপুর। </p><p>মোবাইল:০১৭১১১৪৮৯৫১, ০১৯১১৩০৩২২৯ ইমেইল: thepadma24@gmail.com<br></p>
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।