জয় দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ দল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয় পায় টাইগাররা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে এসে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের কাছে ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতায় ১৩৭ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সাকিবরা। শুধু হারই নয়, সাথে জরিমানাও জুটেছে বাংলাদেশের।
নির্ধারিত সময়ে খেলা শেষ করতে না পারায় স্লো ওভার রেটের কারণে ম্যাচ ফির ৫ শতাংশ জরিমানা গুনতে হয়েছে বাংলাদেশকে। নিয়ম অনুযাযী, নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে কোনো দল যত ওভার কম বোলিং করবেন সেই দলকে প্রতি ওভারের জন্য ম্যাচ ফির ৫ শতাংশ করে জরিমানা গুনতে হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
বাংলাদেশ এক ওভার কম বোলিং করায় ক্রিকেটার ও স্টাফদের সবাইকে ৫ শতাংশ করে জরিমানা দিতে হচ্ছে। মাঠের দুই আম্পায়ার আহসান রাজা, পল উইলসন এবং থার্ড আম্পায়ার আদ্রিয়ান হোল্ডস্টোকের দেয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জরিমানা করেছেন ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথ। বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব শাস্তি মেনে নেয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।
আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ৭ম আসরে ধর্মশালায় মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। একপেশে ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে তাতে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইংল্যান্ড রান তুলতে থাকে ঝড়ের বেগে।
ইংলিশদের রানের ফোয়ারা থামাতে বেশ হিসেবনিকেশ করে বল করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। বিশেষ করে শেষ ১০ ওভারে বল হাতে মুন্সিয়ানাই দেখিয়েছেন টাইগার পেসাররা। কিন্তু তাতে সময়ক্ষেপণ হয়েছে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি। এ কারণেই জরিমানা করা হয়েছে টাইগারদের।
এক বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানিয়েছে, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিজ নিজ ম্যাচ ফি’র ৫ শতাংশ অর্থ জরিমানা করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৪৯ ওভার শেষ করে বাংলাদেশ, কমতি ছিল ১ ওভারের। নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ওভারের জন্য ম্যাচ ফি’র ৫ শতাংশ করে জরিমানা করা হয়। তা-ই করা হয়েছে ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথের সিদ্ধান্তে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ায় কোনো আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি। আগামী ১৩ অক্টোবর চেন্নাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
Leave a Reply