দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্রসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ২৬ প্রার্থী।
ফরিদপুর-১ ও ২
ফরিদপুর-১ ও ২ আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ও বৈধ ঘোষণা করা হয় নয়জনের।
রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার ২জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ও ৯ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেন।
জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১০ টায় ফরিদপুর-১ আসনের প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়। এ আসনে প্রার্থী ছিলেন ৭জন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলনের মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর ঘোষণা অংশ ফাঁকা রাখায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এছাড়া অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃকের হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
বৈধ প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি মো. আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) থেকে সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর, জাতীয় পার্টির আকতারুজ্জামান খান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নুর ইসলাম শিকদার ও জাকের পার্টির আব্দুর রউফ মোল্যা।
পরে দুপুর ২টায় ফরিদপুর-২ আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করা হয়। এ আসনে মোট ৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তারা সবাই বৈধ বলে ঘোষণা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বৈধ প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. জামাল হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জয়নুল আবেদীন ফারুক মিয়া ও জাকের পার্টির মো. ফজলুল হক।
ফরিদপুর-৩
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ আসনে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামরুল হোসেন তালুকদার তার নিজ কার্যালয়ে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এসময় ৫ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ এবং ৩ জনের বাতিল ঘোষণা করেন।
যাদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী একে আজাদ, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এসএম ইয়াহিয়া, বাংলাদেশ কংগ্রেসের এমএ মুঈদ হাসেন আরিফ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পাটির দেলোয়ার হোসেন।
এসময় ভোটার তথ্যের গরমিল থাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, হলফনামায় সম্পদ বিবরণীতে স্বাক্ষর না থাকায় বিএনএমের গোলাম রাব্বানী খান মুন এবং হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় কংগ্রেস প্রার্থী আব্দুল আওয়াল মিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।
ফরিদপুর -৪
ফরিদপুর-৪ আসনে মনোনয়ন যাচাইবাছাই অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান তালুকদার ছয়জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন এবং এক জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এ আসনে ৭ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
যাদের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে তারা হলেন- তরিকত ফেডারেশনের মাকসুদ আহমেদ গোলাম মাওলা, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি কাজী জাফরউল্ল্যাহ, জাকের পার্টির রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আলমগীর কবির, বাংলাদেশ কংগ্রেস নাজমুন নাহার।
এ সময় আয়কর বিবরণী না থাকায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেনের মনোনয়ন বিকাল চারটা পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। এ সময়ের মধ্যে আয়কর হিসাব জমা দিতে না পারায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
Leave a Reply