প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫, ২:০৬ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩, ৫:১৭ পি.এম
ফরিদপুরের স্কুলগুলোতে পৌঁছে যাচ্ছে নতুন বই
সারাদেশের মতো ফরিদপুরের মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আসতে শুরু করেছে নতুন বই। নতুন বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে এসেছে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির বই। যদিও পাঠ্যবইয়ের সব বিষয় এখনো পুরোপুরি ফরিদপুরেরএসে পৌঁছেনি। জাতীয় নির্বাচনের পরে সময়ে বাকি বই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রাইমারি, ইবতেদায়ি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কিন্ডার গার্টেন, মাদরাসাগুলোতে পাঠ্যবই পৌঁছানোর কাজ করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো। উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় বই প্রেরণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কর্মচারীরা। বছরের প্রথম দিনেই যেন শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া সম্ভব হয় সেজন্য এই কর্মব্যস্ততা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১ জানুয়ারি থেকে ফরিদপুরের উপজেলার প্রতিটি স্কুলে শিক্ষার্থীরা পাবে নতুন বই। তাই বিতরণের জন্য স্কুলে স্কুলে পৌঁছে যাচ্ছে নতুন এসব বই। তবে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে নির্বাচন কমিশন থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফরিদপুরের মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, এক মাস আগেই এখানকার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই পৌঁছানো শুরু হয়েছে। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের একাধিক গোডাউন রয়েছে। সেখানে থেকে বই গ্রহণ করছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। সরকারি-বেসরকারি, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা বছরের প্রথম দিন বই পাবে। ফরিদপুরের সবমিলিয়ে মোট ৪০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ফরিদপুরের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, তৃতীয় থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে নতুন বই দেওয়া হবে। সে লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে বর্তমান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিচ্ছে। এই কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় সারাদেশে একযোগে বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে বই বিতরণ উদযাপিত হয়ে আসছে।
মুদ্রণ-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হরতাল-অবরোধের কারণে বই ছাপায় বিঘ্ন ঘটছে। এর মধ্যে নতুন সঙ্কট হিসেবে দেখা দিয়েছে সময়মতো পাণ্ডলিপি না পাওয়া। এছাড়া গত বছরের মতো এবারও কয়েকটি প্রেসে নিম্নমানের কাগজে বই ছাপানোর অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, চলতি বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে পাঠদান শুরু হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী বছর থেকে শুরু হবে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। ফলে পাল্টে যাবে পুরোনো বই। গত বছর শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই পৌঁছে দিতে মার্চ মাস পেরিয়ে গিয়েছিল। যার প্রভাব পড়েছে চলতি শিক্ষার্থীদের সিলেবাস সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে।
<p>সম্পাদক: মো:রোকন উদ্দিন রুমন </p><p>লেখক: আবদুল্লাহ যায়েদ তানজিন </p><p>উপদেষ্টা: মো: মোশাররফ হোসেন </p><p>thedailypadma@gmail.com<br></p><p> বার্তা কার্যালয়: দক্ষিন কমলাপুর,ফরিদপুর সদর, ফরিদপুর। </p><p>মোবাইল:০১৭১১১৪৮৯৫১, ০১৯১১৩০৩২২৯ ইমেইল: thepadma24@gmail.com<br></p>
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।