উইকেট ধরে রেখেও বড় পুঁজি পেল না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ১৮ ওভার পর্যন্ত ৯ উইকেট হাতে রেখেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ তারা। মাঠে থেকেও সময়ের প্রয়োজন মেটাতে পারেননি ইমরুল-হৃদয়। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে মাত্র ১৪৩ রান তুলেছে দলটি।
উইকেটে থিতু হয়েও খোলস ছেড়ে বের হতে পারেননি ইমরুল কায়েস বা তাওহীদ হৃদয়ের কেউ। দু’জনে মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১০৭ রান। তবে তার জন্য খরচ করেন ৮৭ বল! আধুনিক ক্রিকেটে যা বেমানান। বিপরীতে ইনিংসের শেষ তিন বলে তিন উইকেট তুলে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন শরিফুল ইসলাম।
উদ্বোধনী ম্যাচে শুক্রবার টসে হেরে ব্যাট করতে নামে কুমিল্লা। ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন ইমরুল কায়েস ও অধিনায়ক লিটন দাস। তবে বড় হয়নি তাদের জুটি। লিটন ফেরেন ১৬ বলে ১৩ রানে, চতুরঙ্গা ডি সিলভার বলে ক্যাচ দিয়ে। ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় কুমিল্লা।
এরপর থেকে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন ইমরুল। যদিও তিনি ফিরতে পারতেন ২৩ রানেই। আবরারের বলে সহজ ক্যাচ উঠিয়ে দিলেও তা তালুবন্দি করতে পারেননি ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক। জীবন পেয়ে তা কাজে লাগাতে ভুলেননি ইমরুল। আসরের প্রথম ব্যাটার হিসেবে তুলে নেন অর্ধশতক। ৪২ বলে স্পর্শ করেন এই মাইলফলক। তবে বাড়াতে পারেননি রানের গতি। ১৯তম ওভারের শেষ বলে ফেরার আগে ৫৬ বলে করেন ৬৬ রান। একই ওভারে অবশ্য ফিরেন তাওহীদ হৃদয়ও।
গত আসরে যেখানে থেমেছিলেন, এবার যেন সেখান থেকেই শুরু তাওহীদ হৃদয়ের। দল পাল্টালেও ভূমিকা পাল্টেনি, সেই আগের মতোই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলছেন তিনি। তবে পারেননি সময়ের প্রয়োজন মেটাতে। আউট হওয়ার আগে ৪১ বলে মাত্র ৪৭ রান আসে তার ব্যাটে।
১৯ ওভার শেষে কুমিল্লার সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১৩১ রান। শেষ ওভারে জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে ১৪০ পাড় করেন খুশদিল শাহ। তবে এরপর টানা তিন বলে তিন উইকেট তুলে নেন শরিফুল। ফেরান খুশদিল শাহ, রোস্টন চেজ ও মাহিদুল ইসলামকে। বিপিএলের সপ্তম বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি।
Leave a Reply