
নতুন কারিকুলামে পরীক্ষার বদলে শ্রেণি কক্ষে মূল্যায়ণ পদ্ধতির কারণে মেধার সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না দাবি সংশ্লিষ্টদের। বেশিরভাগ অভিভাবকের দাবি কারিকুলাম বাতিল বা আগের মতো পরীক্ষা নেওয়া হোক। সপ্তম শ্রেণির ‘শরীফা’ গল্পসহ বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্য বিষয় নিয়ে নানা বিতর্ক উঠেছে। নতুন কয়েকটি বইয়ে ভুল ধরা পড়েছে। এরইমধ্যে ইংরেজি মাধ্যমের সাতটি বই তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার সচিব সভায় কারিকুলামের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। মূল্যায়ন পদ্ধতি ও পাঠ্য বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করেছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। শিক্ষামন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা করে একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে মূল্যায়ন পদ্ধতি ও কারিকুলাম সংক্রান্ত একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য বানানো নৈপণ্য অ্যাপেও পরিবর্তন আনা হবে। তবে পূর্ণ নম্বর নাকি আংশিক নম্বরের পরীক্ষা চালু হবে তা নির্ভর করছে ওই কমিটির সুপারিশের উপর। তবে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ নম্বরের পরীক্ষা চালু হতে পারে। শরীফার গল্পটিও নতুন করে লেখা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কারিকুলাম এবং পাঠ্যপুস্তক বিতরণ ও মানোন্নয়ন-সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভা হয়। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সভাপতিত্বে সভায় মূল্যায়ন পদ্ধতি ও কারিকুলাম-সংক্রান্ত সমন্বয় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবে এনসিটিবি, বিভিন্ন অধিদপ্তর ও বোর্ডের প্রতিনিধিরা। দিনব্যাপী ওই বৈঠকে মূল্যায়ণের জন্য বানানো ‘নৈপণ্য অ্যাপ’, নতুন কারিকুলামে কোন কোন দেশ থেকে রেফারেন্স নেওয়া হয়েছে তার বিস্তারিত জানতে চান মন্ত্রী। এনসিটিবি থেকে সেসব তথ্য সরবরাহ করার পর কারিকুলাম পর্যালোচনা করার জন্য নতুন কমিটি গঠন করে দেন মন্ত্রী। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কারিকুলাম পর্যালোচনা ও পরীক্ষা পদ্ধতি বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ পাওয়ার পর এ বছরই তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, গত বছর থেকে প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের সাতটি শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বা শিক্ষাক্রম চালু করেছে সরকার। আগামী বছর পঞ্চম ও দশম শ্রেণি, ২০২৬ সালে একাদশ শ্রেণি এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে ধাপে ধাপে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করার কথা রয়েছে। নতুন কারিকুলামে সব শ্রেণিতে পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করে মূল্যায়ণের নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। নবম শ্রেণিতে বিভাগ (বিজ্ঞান, ব্যবসা ও মানবিক) পছন্দের বদলে একাদশ শ্রেণিতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা পছন্দমতো বিভাগে পড়তে পারবেন। হঠাৎ করে এসব পরিবর্তনের ফলে অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন মহল ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। বিশেষ করে পরীক্ষা তুলে দিয়ে দলবদ্ধ ও শ্রেণি কক্ষে মূল্যায়নের প্রতিবাদে রাজপথে নামেন অভিভাবকরা।
এনসিটিবির একাধিক কর্মকর্তা জানান, কিছু এনজিও কর্মকর্তাদের পরামর্শে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নতুন কারিকুলামে পুরোপুরি পরীক্ষা পদ্ধতি তুলে দেন। এনসিটিবির অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের মতামত পাত্তা দেননি সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরাঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে। ১১ জানুয়ারি সরকার গঠন করলে বাদ পরেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের দায়িত্ব পান মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি দায়িত্ব নিয়েই বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে নানা মহল থেকে কিছু পরামর্শ আসছে। এগুলো আমলে নিয়েই কারিকুলাম ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসতে পারে। কারণ কারিকুলাম যে একেবারে শতভাগ স্থায়ী তা কিন্তু নয়’।
এদিকে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের পর গত সোমবার সচিবদের নিয়ে প্রথম বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নতুন পাঠ্যক্রমে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে সে ত্রুটির বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যদি কোনো ভুল ভ্রান্তি, যদি কোনো তথ্যগত বা কোনো একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় তাহলে দ্রুত যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, কোনো বিলম্ব হবে না। কোনো গ্যাপ তৈরি হলে যেন যথাযথভাবে পর্যালোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে বলেছেন।
তিনি আরো বলেন, নতুন যে শিক্ষাক্রম নেওয়া হয়েছে, তা প্রচলিত শিক্ষাক্রম নয়। তা থেকে ভিন্ন একটা। এই বাস্তবতা আমাদের মানতে হবে। আমরা যারা বিশেষজ্ঞ তারা প্রচলিত পাঠ্যক্রমে শিক্ষা পেয়েছি। নতুন যে পাঠ্যক্রম রচনা করতে হবে, সে ব্যাপারে প্রশিক্ষিত লোক খুব বেশি আছে তা কিন্তু নয়।
জানতে চাইলে এনসিটিবি চেয়ারম্যান প্রফেসর ফরহাদুল ইসলাম আজকালের খবরকে বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী নতুন কারিকুলামের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন। এরমধ্যে নৈপুণ্য অ্যাপসে কীভাবে মূল্যায়ণ হয়, নতুন কারিকুলাম যেসব দেশ থেকে রেফারেন্স নেওয়া হয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন। আমরা এসব তথ্য সরবরাহ করেছি। পরীক্ষা পদ্ধতিতে ফিরবে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, পরীক্ষা একেবারে বাতিল না করে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা রাখার দাবি উঠেছে সর্বমহলে। এসব বিষয় পর্যালোচনা করতেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ পাওয়ার পর বলা যাবে আসলে কি হবে।
সংশ্লিষ্ট জানিয়েছে, গত শিক্ষাবর্ষে ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়ার পর নানা সমালোচনার ঝড় উঠে। নানা ভুল আর অসংগতির কারণে চলতি শিক্ষাবর্ষে ৮ম ও নবম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম চালু না করার পরামর্শ দেয় এনসিটিবি উর্ধ্বর্তন কর্মকর্তারা। কিন্তু সাবেক শিক্ষামন্ত্রী অনেকটা গায়ের জোরেই দ্বিতীয়, তৃতীয়, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম চালু করেন। নতুন কারিকুলামের লেখক থেকে সব কিছু সাবেক মন্ত্রী ঠিক করে দেন। পুরো পা-ুলিপি তিনি বাসায় নিয়ে রেখে দেখেন। এ কারণে চলতি বছর ৮ম ও নবম শ্রেণির বই ছাপানোর পা-ুলিপি এনসিটিবি পায় ডিসেম্বরের শেষের দিকে। এই দুই শ্রেণির বই এখনও ছাপা চলছে। অনেক উপজেলার অনেক শিক্ষার্থী আজও বই পায়নি। সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত হয়। ২০২১ সালে প্রণিত কারিকুলামের জাতীয় ফ্রেম ওয়ার্ক অনুযায়ী প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির শিখন যোগ্যতা থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্য বই প্রণয়নের কথা রয়েছে। কিন্তু দীপু মনির নির্দেশে এনটিবিটির মাধ্যমিক শাখার কর্মকর্তারা ফ্রেম ওয়ার্ক না মেনে ৬ষ্ঠ শ্রেণির বইয়ের পান্ডুলিপি তৈরি করেন। যে কারণে প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির বইর পা-লিপি তৈরি করা হলেও ছাপা বন্ধ রয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির সঙ্গে তাল না মিলিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা হলে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ পড়বে। এ ছাড়া প্রাক-প্রাথমিক থেকে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে পঞ্চম শ্রেণির পান্ডুলিপি তৈরি করতে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষামন্ত্রণালয়ের হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির শিখন যোগ্যতার সঙ্গে সঙ্গতি না রেখে ৬ষ্ঠ শ্রেণির নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের করলে প্রাথমিকের অর্থ গচ্চা যাবে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম জানান, শরীফার গল্পটি পুনরায় (রিরাইট) লেখা হচ্ছে। বিজ্ঞানসহ বেশ কয়েকটি বইয়ের সংশোধন এপ্রিলে শেষ হবে। এ ছাড়া ভুলভাবে ছাপার কারণে ইংরেজি মাধ্যমের সাতটি বই তুলে নেওয়া হয়েছে।
কারিকুলাম প্রণয়নের সঙ্গে জড়িতরা দাবি করেছেন- নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের আনন্দময় পরিবেশে পড়ানোর পাশাপাশি মুখস্থনির্ভরতার পরিবর্তে দক্ষতা, সৃজনশীলতা, জ্ঞান ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে শেখাতেই পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে। তবে নতুন পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে বসতে চায় না বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। তাদের দাবি, পরীক্ষা না থাকায় বাচ্চারা পড়তে চায় না। তাদের দাবি কমপক্ষে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা রাখা হোক। তাদের এই দাবির মুখে ৩০ থেকে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা রাখার চিন্তা করছে নীতি নির্ধারকরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, অভিভাবকরা এমনটাই দাবি করে আসছে। যেহেতু একটি মূল্যায়ণ পর্যালোচনা কমিটি হয়েছে তারাই সবার সঙ্গে কথা বলে বাস্তবিক ও গ্রহণযোগ্য একটি সুপারিশ করবে।
নতুন কারিকুলাম নিয়ে আন্দোলনরত অভিভাবকদের সংগঠন ‘সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক’ রাখাল রাহা বলেন, কারিকুলাম পর্যালোচনার জন্য কমিটি গঠন করেছে এটাকে প্রাথমিক বিজয় মনে করি। একই সঙ্গে কমিটি যেন অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মতামত নিয়েই প্রতিবেদন দেয় সেই দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, কত নম্বরের পরীক্ষা থাকবে সেটা তারা পর্যালোচনা করে নির্ধারণ করুক। তবে শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে রাখার জন্য পরীক্ষা যেন থাকে সেই দাবি আমাদের।
নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষণ ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুতের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘নৈপুণ্য’অ্যাপ তৈরি করেছে। এই অ্যাপের ওয়েব ভার্সন ব্যবহার সংক্রান্ত গাইডলাইন শিক্ষপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। গাইডলাইনে নৈপুণ্য অ্যাপের ওয়েব ভার্সন ব্যবহার করে কীভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো লগইন, শাখা, শিফট, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, নির্ধারিত বিষয়ের শিক্ষক নির্বাচন করবেন। এই অ্যাপে শিক্ষার্থীদের কীভাবে মূল্যায়ণ করা হবে তার আদি-অন্ত জানতে চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। ১ ফেব্রুয়ারি তিনি এই অ্যাপসে কীভাবে বানানো হয়েছে তাও জানতে চান। নতুন কারিকুলাম প্রণয়ণে যেসব দেশ থেকে রেফারেন্স নেওয়া হয়েছে সেসব দেশ পরীক্ষা আছে কি-না তাও জানতে চেয়েছেন মন্ত্রী। অন্যদেশের ভৌগলিক অবস্থান, অর্থনৈতিক কাঠামোর সঙ্গে আমাদের দেশের তুলনামূলক চিত্র জানতে চান মন্ত্রী।
এনসিটিবির কর্মকর্তারা জানান, নতুন কারিকুলামে কোনও পরিবর্তন, সংশোধন বা পরিমার্জন হয় তা বছরের যেকোন সময় বাস্তবায়ন করা সম্ভব। কারণ কোনো বই-ই এখনো পূর্ণাঙ্গ নয়। সবই পরীক্ষামূলক সংস্করণ। গত বছরের সংশোধনীগুলো এপ্রিল মাসে ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুটি বইয়ে চার শতাধিক সংশোধনী পাঠায় বোর্ড। চলতি বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণির নতুন সব বইয়ের উপযোগিতা যাচাই হচ্ছে। ইতোমধ্যে বইয়ের ভুলসহ যেকোন ধরনের সংশোধনী থাকলে বোর্ডকে জানতে বলা হয়েছে। যে কেউ ভুলগুলো এনসিটিবিকে জানতে পারে। এরপর আগামী অক্টোবর মাসে যাচাই বাচাই করে সংশোধন অথবা বাদ দেওয়া হতে পারে।
এনসিটিবি সূত্র জানিয়েছে, সারা দেশে কমপক্ষে তিন শতাধিক স্কুলে সশরীরে উপস্থিত থেকে উপযোগিতা যাচাইয়ের কাজ করা হবে। শহর, গ্রাম, উপকূলীয় এলাকার স্কুলকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের স্কুলে এ প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হবে। এরমধ্যে থাকবে প্রতিবন্ধীদের স্কুলও। নেওয়া হবে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মতামত। সেগুলো লিখিত আকারে এনসিটিবিতে পাঠাবেন কর্মকর্তারা। তা নিয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে বিশেষজ্ঞ কমিটি।
Leave a Reply