1. admin@thedailypadma.com : admin :
বিশ্বের চারটি দেশে বেনজীরের সম্পদের খোঁজে দুদক - দ্য ডেইলি পদ্মা
শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন

বিশ্বের চারটি দেশে বেনজীরের সম্পদের খোঁজে দুদক

  • Update Time : বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪
  • ৬৭ Time View

শুধু দেশে নয়, বিশ্বের চারটি দেশে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে কোনো সম্পদ আছে কি না, সেই খোঁজও শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক সূত্র বলছে, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বেনজীর পরিবারের সম্পদ থাকতে পারে বলে ধারণা করছে তারা। প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন সূত্রে তারা কিছু তথ্যও পেয়েছে।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে বিদেশে সম্পদের খোঁজ নিতে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চিঠি দেয়া হয়েছে। দেশ থেকে অর্থ পাচার ঠেকাতে নীতিমালা প্রণয়ন ও সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে বিএফআইইউ। সংস্থাটি ‘এগমন্ট গ্রুপ’ নামের একটি ফোরামের সদস্য। এই ফোরাম বিশ্বের ১৭০টি দেশের সংশ্লিষ্ট সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত, যারা অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নসংক্রান্ত তথ্য নিয়ে কাজ করে।

সূত্র জানায়, অনুসন্ধান শুরুর এক মাসের মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় বেনজীর পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য পাওয়ার পর তিনি বিদেশেও অর্থ পাচার করেছেন বলে সন্দেহ করছে দুদক। এ কারণে বিদেশে তার কোনো সম্পদ থাকলে সেসবের নথিপত্র চেয়ে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে বিএফআইইউকে চিঠি দিয়েছে দুদকের অনুসন্ধান টিম।

দুদক বিভিন্ন সংস্থাকে বেনজীর পরিবারের সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। বিভিন্ন সংস্থা থেকে তথ্য আসছে। এখন পর্যন্ত বেনজীর পরিবারের ৬২১ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট, ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব এবং তিনটি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) পেয়েছে দুদক। আদালতের আদেশে এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি  ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র‍্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র‍্যাব এবং র‍্যাবের সাবেক ও বর্তমান যে সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের নামও ছিল। তখন তিনি আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন।

বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধানে কমিটি করে দুদক।

দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, অনুসন্ধানের শুরুতে বেনজীর পরিবারের বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য উঠে এসেছে। এসব সম্পদের বিষয়ে ওই পরিবারের সদস্যদের আয়কর নথি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কীভাবে তারা এসব সম্পদ গড়েছেন, তার ব্যাখ্যা দরকার। সে কারণে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন মনে করছে অনুসন্ধানী দল। আগামী ৬ জুন বেনজীর আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুসন্ধানী দলের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন অনুমোদন দিয়েছে।

এ বিষয়ে দুদক কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাকে (বেনজীর আহমেদ) বলতে হবে, এই সম্পত্তি কোত্থেকে এল, কীভাবে এল। দুদক সব সময় বৈধ সম্পত্তি দেখবে, সম্পত্তির উৎস দেখবে। তার সম্পত্তি যদি অবৈধ হয়, তাহলে সেগুলো রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে পারবে। সে জন্য সম্পদ ফ্রিজ (জব্দ) করা হচ্ছে। ফ্রিজ না করলে সম্পদ হস্তান্তর হয়ে যেতে পারে।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews