1. admin@thedailypadma.com : admin :
খুচরা বাজারে ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা - দ্য ডেইলি পদ্মা
রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন

খুচরা বাজারে ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা

  • Update Time : সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪
  • ৬৩ Time View

গত কয়েকদিনে ডিমের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। স্বল্প আয়ের মানুষের পুষ্টির বড় অংশ পূরণ করে ফার্মের মুরগির ডিম। সেটির দামও লাফিয়ে বেড়ে এখন রেকর্ড গড়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়। আর খুচরা বাজারে ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা।

আর পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, যা কয়েক দিন আগেও ছিল ১৫০ টাকা। কিছুদিন আগেও একটি ডিমের দাম ছিল ১২ টাকা; এখন তা ক্রয় করতে লাগছে ১৪-১৫ টাকা।

এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরা। সামর্থ্য না থাকায় খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ এখন মাছ-মাংস কিনতে পারছেন না। বস্তুত যারা পুষ্টির জন্য ডিমের ওপর নির্ভরশীল, তারা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

মালিবাগ বাজারের একজন ডিম বিক্রেতা বলেন, প্রায় একমাস ধরে ডিমের বাজার অস্থির হয়ে রয়েছে। ফার্মের মুরগির একটি ডিম পাইকারিতে কিনতে হচ্ছে ১৩ টাকারও বেশি দামে। সামান্য লাভে বিক্রি করলেও প্রতি ডজনের দাম ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে অনেক ডিম ভেঙে যায়। ফলে খুচরায় প্রতি ডজন ১৬৫ টাকার কমে বিক্রি করলে লোকসান হয়।

রাজধানীর ডিম ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বলেন, উৎপাদন খরচ নির্ধারণ না হওয়ায় ডিমের বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে কোনো ধারণা করা যাচ্ছে না। খামারিরা বলছেন, মুরগির খাদ্য ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিমের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে আমাদের কোনো হাত নেই।

পাইকারি ডিম বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ডিমের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। এ ছাড়া এপ্রিল-মে মাসে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে ক্ষতির মুখে পড়েছেন খামারিরা। অতি গরমে অনেকের খামারে মুরগি মারাও গেছে। যার প্রভাব পড়েছে ডিমের বাজারে।

প্রান্তিক খামারিরা বলছেন, ডিমের করপোরেট ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের পুরোনো চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠায় বাজারে এ অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।

এ নিয়ে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) দাবি করেছে, সারাদেশে হঠাৎ করেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিমের বাজার অস্থির হয়ে যায়। এর নেপথ্যে রয়েছে রাজধানীর তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির কারসাজি। কারণ, তারাই সারাদেশের ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে।

এ অবস্থায় প্রান্তিক খামারিরা উৎপাদনে টিকে থাকতে পারেন না। তখন ক্ষুদ্র খামারিরা উৎপাদন কমিয়ে দিলে এ অসাধু চক্র ইচ্ছামতো দাম বাড়ায়। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে নিঃস্ব হচ্ছেন প্রান্তিক খামারিরা।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দেশে গত ১০ অর্থবছরে ডিম ও দুধ উৎপাদন বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। এ সময়ে মাংস উৎপাদন বেড়েছে দ্বিগুণের কাছাকাছি। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশে ডিমের উৎপাদন ছিল ১ হাজার ১৭ কোটি, যা এখন বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৩৩৮ কোটি। তবে বাজারের অস্থিতিশীলতার কারণে উৎপাদন বাড়ার সুফল পাচ্ছেন না সাধারণ ভোক্তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews