1. admin@thedailypadma.com : admin :
দেশে গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে - দ্য ডেইলি পদ্মা
রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:১৪ অপরাহ্ন

দেশে গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে

  • Update Time : শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০২৪
  • ৬৮ Time View

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বাড়ায় গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। আজ শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

এতে বলা হয়, শুক্রবার চূড়ান্ত হিসাব শেষে দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে।

রিজার্ভ নিয়ে অবশ্য এরআগেই সুখবর দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার রাতে এক বার্তায় বলা হয়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও অন্যান্য খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বাড়ায় গ্রস রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।

রিজার্ভ বেড়ে ২৬ বিলিয়ন ছাড়াল রিজার্ভ বেড়ে ২৬ বিলিয়ন ছাড়াল।

ওই বার্তায় বলা হয়, আইএমএফ থেকে ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার এসেছে। এছাড়াও কোরিয়া, আইবিআরডি, আইডিবি প্রভৃতি থেকে আরও ৯০০ মিলিয়ন ডলার এসেছে। এতে গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি হতে পারে। শেষ কর্মদিবসের আগের দিন হওয়ায় এখনও চূড়ান্ত হিসাব করা হয়নি। বৃহস্পতিবার পূর্ণ হিসাব করা হবে। তবে প্রাক্কলিত রিজার্ভের পরিমাণ হতে পারে প্রায় ২৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।

গত সোমবার বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তির আওতায় তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন দেয় আইএমএফ। এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর গত ডিসেম্বরে পাওয়া যায় দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার।

এখন তৃতীয় কিস্তির অর্থছাড়ের ফলে বাংলাদেশ সব মিলিয়ে তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে। ঋণের বাকি প্রায় ২৩৯ কোটি ডলার আরও চার কিস্তিতে পাওয়া যাবে।

করোনার পর থেকেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে চাপে রয়েছে বাংলাদেশ। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও অন্যান্য ভোগ্য পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দ্রুতই কমতে শুরু করে রিজার্ভ।

গত মে মাসে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন- আকু’র ১৬৩ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৮ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। যা ছিল গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম। সে সময় আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে হয় ১৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারে।

এর আগে, ২০১৪ সালের শুরুর দিকে রিজার্ভ ১৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়ানোর পর আর নিচে নামেনি।

গত ১ জুন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছিলেন, দেশে সাড়ে ৪ মাসের ডলার রিজার্ভ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে অর্থনীতির চাপের মধ্যে রয়েছে দেশ। এক সময় আমাদের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন পর্যন্ত গিয়েছিল। সেখান থেকে আমাদের রিজার্ভ কমে এসেছে। যেকোনো দেশে ৩ মাসের রিজার্ভ থাকলেই কোনো সমস্যা হয় না। সেখানে আমাদের প্রায় সাড়ে ৪ মাসের রিজার্ভ রয়েছে। যদি বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আসে ও বিদেশে রপ্তানি বিনিয়োগ বাড়ানো যায় তাহলে সুবিধা হবে।’

এদিকে, বাংলাদেশ ২০২২ সালের জুলাইয়ে আইএমএফের কাছে ঋণের আবেদন করে। ওই আবেদনের ছয় মাস পর গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ৩৮টি শর্তে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ।

বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ), বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) ও রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ)—এই তিন আলাদা কর্মসূচির আওতায় ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ।

এরই মধ্যে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর গত ডিসেম্বরে পেয়েছিল দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। এখন তৃতীয় কিস্তির অর্থছাড়ের ফলে বাংলাদেশ সব মিলিয়ে তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে। ঋণের বাকি প্রায় ২৩৯ কোটি ডলার আর চার কিস্তিতে পাওয়া যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews