টানা তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার পর আজ (রোববার) থেকে বনজীবী ও পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন উন্মুক্ত। মাছ ও কাঁকড়া ধরতে যাওয়ার জন্য সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ সংলগ্ন বনজীবী পরিবারগুলোতে বইছে উৎসবের আমেজ।
আজ রোববার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে উঠছে সুন্দরবনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা। ফলে সুন্দরবনে প্রবেশে পর্যটক, জেলে, বাওয়ালি বা বনজীবীদের ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা থাকছে না।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে জলভাগের পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪ দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার। যা পুরো সুন্দরবনের আয়তনের ৩১ দশমিক ১৫ শতাংশ। সুন্দরবনের জলভাগে ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া পাওয়া যায়।
বনজীবীরা জানান, জুন থেকে আগস্ট এই তিন মাস প্রজনন মৌসুমে সুন্দরবনের নদী ও খালে থাকা বেশির ভাগ মাছ ডিম ছাড়ে। এ কারণে গত ১ জুন থেকে তিন মাসের জন্য জেলে ও পর্যটকদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ। আজ থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে।
এর আগে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে প্রজনন মৌসুম হিসেবে বন্ধ রাখা হয়েছিল কাঁকড়া ধরা। ফলে সুন্দরবনের মাছ ও কাঁকড়া ধরার ওপর নির্ভরশীল মানুষেরা চরম কষ্টে ছিলেন।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী বলেন, তিন মাস পর ১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলে ও বাওয়ালিদের সুন্দরবনে ঢোকার পাস (অনুমতি) দেওয়া শুরু হয়েছে। এ জন্য আগে থেকেই জেলে বাওয়ালির পাশাপাশি পর্যটক পরিবহনকারী ট্রলার মালিকরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন।
Leave a Reply