বাজারে প্রবাহ বাড়ায় আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। একই সঙ্গে আমদানি ও খোলাবাজারেও কিছুটা কমেছে। গত দুই মাস ধরে দেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। একই সঙ্গে রপ্তানি আয়ও বেড়েছে। এসব কারণে বাজারে ডলারের প্রবাহ বেড়েছে।
আন্তঃব্যাংকে এতদিন বেঁধে দেয়া সর্বোচ্চ ১২০ টাকা দামেই ডলার লেনদেন হতো। ডলারের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দাম একই ছিল। গত বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ দাম ১২০ টাকা থাকলেও সর্বনিম্ন দাম ১১৯ টাকা ৯০ পয়সায় নেমে আসে।
আন্তঃব্যাংকে এতদিন বেঁধে দেয়া সর্বোচ্চ ১২০ টাকা দামেই ডলার লেনদেন হতো। ডলারের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দাম একই ছিল। গত বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ দাম ১২০ টাকা থাকলেও সর্বনিম্ন দাম ১১৯ টাকা ৯০ পয়সায় নেমে আসে।
একইসঙ্গে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। আগে প্রতিদিন গড়ে ১ কোটি থেকে ৪০ লাখ ডলার লেনদেন হতো। বৃহস্পতিবার ৪ কোটি ২৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার লেনদেন হয়। গড় দাম ছিল ১১৯ টাকা ৯৮ পয়সা। আগে গড় দাম ১২০ টাকা ছিল। আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম সামান্য কমাটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ব্যাংকাররা। তারা মনে করছেন, ডলারের প্রবাহ বাড়লে আরো কিছুটা কমবে। যদি নাও কমে আর বাড়বে না। এটি ইতিবাচক। ফলে আমদানি ব্যয় কমে যাবে। একইসঙ্গে ডলারের বিপরীতে টাকার মান স্থিতিশীল থাকলে মূল্যস্ফীতিতে চাপও কিছুটা কমবে।
আমদানিতেও ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। আগে কোনো কোনো ব্যাংকে ১২২ থেকে ১২৩ টাকা দামেও আমদানির ডলার বেচাকেনা হতো। এখন প্রায় সব ব্যাংকেই ১২০ টাকার মধ্যে নেমে এসেছে। ফলে আমদানি ব্যয় টাকার অঙ্কে কিছুটা হলেও কমবে। খোলাবাজারেও ডলারের দাম কমেছে।
বৃহস্পতিবার প্রতি ডলার বেচাকেনা হয়েছে ১২১ থেকে ১২২ টাকায়। কোনো কোনো স্থানে এর চেয়ে সামান্য কিছু বেশি ছিল। খোলাবাজারে দাম কমায় ব্যাংক কার্ব মার্কেটের মধ্যকার ডলারের দামের ব্যবধান কমে এসেছে। এখন ব্যাংক ও খোলাবাজারের মধ্যে ডলারের দামে ব্যবধান হচ্ছে এক থেকে দুই টাকা। আগে এই ব্যবধান ১০ টাকার বেশি উঠেছিল। তবে আগের বকেয়া আমদানি ব্যয় মেটানোর চাপ এখনো রয়েছে। ফলে ওইসব দেনা পরিশোধ করতে হচ্ছে বলে রিজার্ভে কিছুটা চাপ রয়েছে। এখন রিজার্ভ বাড়ছে না। স্থিতিশীল রয়েছে। তবে রিজার্ভের পতন ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।
Leave a Reply