গত সপ্তাহে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইরানে হামলার জন্য সম্ভাব্য ছক কষছে ইসরাইল। অনেকে মনে করছেন, ইরানের তেলক্ষেত্রে হামলা চালিয়ে প্রতিশোধ নিতে পারে তেল আবিব। তবে ইসরাইলকে এ ধরনের প্রতিশোধ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
উপসাগরীয় সূত্রগুলো বর্তমান মার্কিন প্রশাসনকে সতর্ক করেছে, ইসরাইল যদি তেলক্ষেত্রে হামলা চালায়, এটি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো উদ্বিগ্ন, ইরান বা তার প্রক্সিদের যদি সংঘর্ষ বাড়তে থাকে তাহলে তাদের নিজেদের তেল স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো বেশ কয়েকটি উপসাগরীয় রাষ্ট্র যে কোনো বিস্তৃত সংঘাত থেকে দূরে থাকার প্রয়াসে ইসরায়েলের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।
সৌদি বিশ্লেষক আলি শিহাবি রয়টার্সকে বলেছেন, ইরানিরা বলেছে, ‘যদি উপসাগরীয় দেশগুলো তাদের আকাশসীমা ইসরাইলের জন্য খুলে দেয়, তাহলে সেটা হবে যুদ্ধের কাজ’।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের মতে, কবে ইসরাইল ইরানে হামলা চালাবে সেটাই দেখার বিষয়।
বুধবার তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, আমাদের হামলা হবে প্রাণঘাতী, সুনির্দিষ্ট এবং সর্বোপরি বিস্ময়কর। তারা বুঝতে পারবে না কি হয়েছে এবং কিভাবে হয়েছে।
অন্যদিকে ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে ইসরাইলের প্রতিশোধ ব্যাপক ধ্বংসের মুখোমুখি হবে এবং যে কোনো দেশ ইসরাইলকে সাহায্য করবে তাদের আক্রমণ করা হবে ন্যায্য।
দুই ইরানি কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে তেহরান সৌদি আরবকে সতর্ক করেছে যে তারা যদি কোনোভাবে ইসরাইলের হামলায় সহায়তা করে, তবে তারা তার তেল স্থাপনার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুধবার ৩০ মিনিটের জন্য ফোনে কথা বলেছেন ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য ইরানকে জবাবদিহি করার বিষয়ে আলোচনা করতে। বাইডেন ইরানের পারমাণবিক বা তেল স্থাপনায় হামলার সমর্থন করেননি।
তবে, হোয়াইট হাউস ফােনালাপকে ফলপ্রসূ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। একইসঙ্গে বাইডেন ইসরাইলের সুরক্ষার প্রতি প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করেছে।
দুই সিনিয়র ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেছেন, তেল স্থাপনায় হামলা চালানো হবে কিনা সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
Leave a Reply