তিনি বলেন, ‘যারা অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে ছিলেন, নেপথ্যে ছিলেন; তারা অনেকে এখনো অবহেলিত। আমলাদের অনেক রদবদল হলেও সেভাবে সুফল মিলছে না। জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হলে এ সরকারের বিরুদ্ধেও জনগণ অবস্থান নেবে। এ কথাটি যেন আমরা ভুলে না যাই। অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে বিভক্ত না হয়ে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।’
শনিবার (১২ অক্টোবর) জাতীয় জাদুঘরে ‘গ্রাফিতি প্রদর্শনী ও বিপ্লবের লাল কবিতা পাঠ’ আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানের অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ববাসী বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে বুঝতে চাচ্ছে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে একটি অভিনব অভ্যুত্থান হয়েছে, যাকে বিপ্লবের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান জেন-জি প্রজন্ম; যে প্রজন্মকে সবাই ভোগবাদী, স্বার্থবাদী হিসেবে ভেবেছিলেন, তারাই নিজের জীবন উৎসর্গ করে এ বিপ্লব সংঘটিত করেছে, যা বিশ্বে প্রথম।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন যে সংবিধানের কথা বলছি, সেই সংবিধান তো বাংলাদেশের দেওয়ালে দেওয়ালে লেখা হয়ে গেছে। দেশের মানুষ কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান, তা গ্রাফিতির মাধ্যমে দেওয়ালে দেওয়ালে তুলে ধরেছেন তরুণরা।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কারফিউ এবং অন্যান্য কারণে যখন মানুষ রাস্তায় নামতে পারছিলেন না, সেই সময়ই গ্রাফিতির মাধ্যমে মানুষ তাদের কথাগুলো ছড়িয়ে দিয়েছে দেওয়ালে দেওয়ালে। বাংলাদেশের প্রতিটি দেওয়াল এ অভ্যুত্থানের সাক্ষী। এ কথাগুলো আমরা সংরক্ষিত রাখবো এবং এর মাধ্যমেই নতুন বাংলাদেশের মর্মকথা বেরিয়ে আসবে।
Leave a Reply