1. admin@thedailypadma.com : admin :
ফ্যাসিস্ট কোনো রাজনীতির অংশ নয়, ফ্যাসিস্ট সবচেয়ে বড় অশুভশক্তি: সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী - দ্য ডেইলি পদ্মা
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন

ফ্যাসিস্ট কোনো রাজনীতির অংশ নয়, ফ্যাসিস্ট সবচেয়ে বড় অশুভশক্তি: সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

  • Update Time : সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৮ Time View

এবারের শোভাযাত্রা রাজনৈতিক নয় বলে জানিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, তবে ঐতিহাসিকভাবে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক গ্রুপ এটিকে তাদের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছে। এবার আমরা শুধু ফ্যাসিস্টের মুখাবয়ব ব্যবহার করেছি। কারণ ফ্যাসিস্ট কোনো রাজনীতির অংশ নয়, ফ্যাসিস্ট সবচেয়ে বড় অশুভশক্তি।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিতে এসে এসব কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, এটি শুধু বাঙালিরই নয়, বাংলাদেশে বাস করা অন্যান্য জাতিগোষ্ঠি চাকমা, মারমা, গারোসহ সবার উৎসব। এবার থেকে আমরা এ উৎসবকে জাতীয়ভাবে পালন করা শুরু করলাম।

এবারের শোভাযাত্রা রাজনৈতিক কি না, গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, না, এটা রাজনৈতিক নয়। তবে বিগত সময়ে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক গ্রুপ এটিকে নিজেদের সুবিধার্থে ব্যবহার করেছে। এবার ‘ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি’ মোটিফ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে ফ্যাসিস্ট রাজনীতির অভিধানে একেবারে বাইরের বিষয়। ফ্যাসিস্ট কোনো রাজনীতির অংশ নয়। ফ্যাসিস্ট সবচেয়ে বড় অশুভ শক্তি। তবে হ্যা, আরেক দৃষ্টিকোণে এটিকে বাংলাদেশের আপামর জনতার মহামিলনমেলা হিসেবে বড় ঐক্যের প্ল্যাটফর্ম। এখানে মুঘল থেকে সুলতানি আমল কিংবা বর্তমান আবহ সবকিছু উপস্থিত। গতানুগতিক সংকীর্ণ রাজনৈতিক মনোভাব এখানে নেই।

এবারের শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন নিয়ে চারুকলার একদল শিক্ষার্থীর প্রশ্নের বিষয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, চাপিয়ে দেয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। আগে চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। নাম ছিল বর্ষবরণ শোভাযাত্রা যশোরে। সেখান থেকে ঢাকায় আসার পর নাম হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। এরপর চাপানো হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে। এবার চারুকলা সিদ্ধান্ত নিয়েছে চারুকলায় যে নামে চালু হয়েছিল সেই নামে শুরু হবে।

‘অনেকদিন ধরে এটাকে আমরা বাঙালির প্রাণের উৎসব বানিয়ে রেখেছি। কিন্তু এটা বাংলাদেশের প্রাণের উৎসব। কারণ বাঙালি, চাকমা, মারমা, গারোসহ সব জাতিগোষ্ঠী বর্ষবরণ পালন করে,’ যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, নববর্ষ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐক্যের বড় উপলক্ষ। এটা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐক্য এবং সম্মিলনের একটি বড় ধাপ। আমরা হয়ত ২০ থেকে ৩০ বছর পর থাকবো না। কিন্তু আজকের বছরটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ এরপর থেকে বাংলাদেশ এভাবেই চলবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews