তাইওয়ানে সুপার টাইফুন রাগাসার প্রভাবে একটি হ্রদের পানি উপচে পড়ায় অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ হয়েছে আরও ১২০ জনের বেশি মানুষ। ঝড়ের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। খবর বিবিসির।
এদিকে হংকং কর্তৃপক্ষ এই শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড়ের কারণে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। শত শত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং শহরের স্কুল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে যে, এটি সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বিধ্বংসী ঝড়গুলোর একটি হতে পারে।
হংকংয়ের ৭৫ লাখ বাসিন্দা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় প্রস্তুত রয়েছে। শহরের বিমানবন্দর খোলা থাকলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার পর্যন্ত বড় ধরনের ফ্লাইট বিপর্যয়ের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ক্যাথে প্যাসিফিকের পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। হংকং অবজারভেটরি জানিয়েছে, তারা তৃতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করবে এবং এরপরেই বেশিরভাগ ব্যবসা ও গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে।
চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশ থেকে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এটি এ বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এক মাসের সমপরিমাণ বৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে ভূমিধসের ঝুঁকি বেড়ে গেছে।
এর আগে ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানে সুপার টাইফুন রাগাসা। ঘুর্ণিঝড়টি আঘাত হানার পর ওই অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এই পরিস্থিতিকে সম্ভাব্য ‘বিপর্যয়’ বলে বর্ণনা করেছে দেশটির আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ।
Leave a Reply