1. admin@thedailypadma.com : admin :
৬০ বছরের ইতিহাসে প্রথম ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফাইনালে ফরাসিরা - দ্য ডেইলি পদ্মা
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০০ অপরাহ্ন

৬০ বছরের ইতিহাসে প্রথম ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফাইনালে ফরাসিরা

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১০৬ Time View

বেলজিয়াম, স্পেন, পর্তুগালের মতো তিন ইউরোপীয় পরাশক্তিকে হারানো মরক্কো উঠে সেমিফাইনাল পর্যন্ত। আরব ও আফ্রিকান ফুটবলের ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের শেষ চারে জায়গা করে নেয়া দলটি চোখ রেখেছিল ফাইনালেও। কিন্তু ফরাসি বাধা পেরোতে পারেনি তারা। উড়তে থাকা মরক্কোকে মাটিতে নামিয়ে আনলো ফ্রান্স। ৬০ বছরের ইতিহাসে প্রথম ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফাইনালে ফরাসিরা।

আটলাস লায়ন্সদের ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ফরাসিরা। গোল দুটো করেছেন থিও হার্নান্দেজ ও কলো মুয়ানি

ম্যাচের শুরুটা দুর্দান্ত হয় ফ্রান্সের। পাঁচ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় তারা। আন্তোনিও গ্রিজম্যানের উদ্দেশে দুর্দান্ত বল বাড়ান রাফায়েল ভারান। গ্রিজম্যান একটু সামনে এগিয়ে বল পাস বাড়ান সামনে থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। এমবাপ্পে দুবার গোলের উদ্দেশে শট মারলেও তা আটকে যায়। শেষ বার এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে তা চলে যায় বাঁ দিকে থাকা থিও হার্নান্দেজের দিকে। মরক্কোর ডিফেন্ডাররা ততক্ষণে এক দিকে সরে এসেছেন। উল্টো দিকে থাকা থিও কিছুটা লাফিয়ে বাঁ পায়ের সাইড ভলিতে বল জালে জড়ান। ১৯৫৮ সালের পর বিশ্বকাপের কোনও সেমিফাইনালে দ্রুততম গোল এটি।

১০ মিনিটের মাথাতেই সমতা ফেরানোর দারুণ সুযোগ পেয়েছিল মরক্কো। বক্সের বাইরে ডান দিক থেকে শট করেছিলেন আজ এদিন ওউনাহি। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে হাত ঠেকিয়ে কোনও ফ্রান্সকে বাঁচান হুগো লরিস।

১৭ মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসে গিয়েছিল ফ্রান্সের সামনে। মাঝমাঠ থেকে বল ভেসে এসেছিল অলিভিয়ের জিরুদের উদ্দেশে। তিনি কিছুটা এগিয়ে গিয়ে বাঁ পায়ে জোরালো শট মারেন। পোস্টে লেগে তা মাঠের বাইরে চলে যায়। তবে গোলে থাকলে ইয়াসিন বোনোর কিছু করার ছিল না।

৪৪ মিনিটের মাথায় গোলের সুযোগ এসেছিল মরক্কোর কাছে। হাকিম জিয়েচের কর্নার ফ্রান্সের রক্ষণ ক্লিয়ার করে দেয়ার পর ব্যাক ভলি মেরেছিলেন মরক্কোর জাওয়াদ এল ইয়ামিক। তা পোস্টে লেগে ফিরে আসে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ করছিল ফ্রান্স। একের পর এক আক্রমণ চালায় গ্রিজম্যান এমবাপ্পেরা। তবে গোলের দেখা মিলছিল না। পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছিল মরক্কোও।

৭৫ মিনিটের মাথায় দারুণ সুযোগ পায় মরক্কো। চুয়ামেনির পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন হামিদাল্লাহ। ফ্রান্সের ডিফেন্ডাররা তখনও কেউ নিজের পজিশনে ছিলেন না। কিন্তু শট নেয়ার বদলে বক্সের মধ্যে একের পর এক ডিফেন্ডারকে কাটাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার পা থেকে বল কেড়ে নেন ফ্রান্সের ডিফেন্ডাররা।

নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার মিনিট দশেক আগে লিড ২-০ করেন কলো মুয়ানি। এবারেও সেই এমবাপ্পের প্রচেষ্টা থেকেই গোল। বক্সের মাঝখান থেকে বল পেয়েছিলেন চুয়ামেনি। তিনি পাস দেন এমবাপ্পেকে। দু-তিন জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে পায়ের জঙ্গলের ফাঁক দিয়ে গোল করার চেষ্টা করেছিলেন এমবাপ্পে। বল মরক্কোর এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে সোজা চলে যায় ডান দিকে দাঁড়ানো মুয়ানির কাছে। অনায়ায়ে বল জালে জড়ান তিনি। ২-০ গোলের জয় নিয়ে ফাইনালে ওঠে ফ্রান্স।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews