1. admin@thedailypadma.com : admin :
ধর্মীয় আচার, প্রার্থনা ও আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে শুভ বড়দিন উদযাপন - দ্য ডেইলি পদ্মা
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০৫ অপরাহ্ন

ধর্মীয় আচার, প্রার্থনা ও আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে শুভ বড়দিন উদযাপন

  • Update Time : রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১১৬ Time View
ধর্মীয় আচার, প্রার্থনা ও আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে শুভ বড়দিন উদযাপন করছেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের হলি রোজারিও চার্চে গান এবং প্রার্থনার মাধ্যমে বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এদিন সকাল সাতটায় শুরু হয় বড়দিনের প্রথম প্রার্থনা। এরপর সকাল ৯টায় হয় খ্রিস্টযোগ (বিশেষ প্রার্থনা)। প্রার্থনায় অংশ নিতে ভোরে চার্চে সমবেত হন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। এতে যিশুর মহিমাকীর্তন এবং শান্তি ও ন্যায়ের কথা বলা হয়। গির্জার ভেতরে-বাইরে সব জায়গায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনায় মগ্ন থাকতে দেখা যায়। যিশু খ্রিস্টের আদর্শ ও শিক্ষা অনুসরণের আহ্বান জানানো হয় প্রার্থনায়। একই সঙ্গে সবার জন্য শান্তি ও আনন্দের বার্তা দেন তারা।
এদিকে বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টধর্মাবলম্বীসহ সকলের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে পৃথক বাণী দেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাগতিক সুখের পরিবর্তে যীশুখ্রিষ্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পারমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যীশুখ্রিষ্টের শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণীয়।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ এ কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, আবহমানকাল থেকে এদেশে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানাদি স্বাধীনভাবে পালন করে আসছে।
প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, সকল শ্রেণি-পেশা, সম্প্রদায়ের জনগণের উন্নয়নই সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে  তার সরকার সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি- ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আওয়ামী লীগ সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর।
বড়দিন উপলক্ষে গতকাল ছিল সরকারি ছুটি।
বাংলাদেশে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান আর্চবিশপ বিজয় ডি’ক্রুজ বলেন, সকাল ৯টায় দিনের প্রার্থনা করলাম। আমরা বেদি মঞ্চে গিয়েছি, নবজাতক শিশু যিশু খ্রিস্টের প্রতিকৃতিতে ধূপআরতি দিয়েছি। তারপর প্রার্থনা করি। ঈশ্বরের বাণী শুনেছি ও উপদেশ বাণী রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যিশু আমাদের মুক্তিদাতা, শান্তিদাতা। তিনি বিশ্বের শান্তি, মুক্তি ও আনন্দ আর মিলন ঘটাতে পৃথিবীতে এসেছেন। তবে আমরা দেখছি ইউক্রেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি-মারামারি, এতে আমরা দুঃখ প্রকাশ করি। আমরা ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করি। ইশ্বরের পক্ষে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। আমরা প্রার্থনা জানাচ্ছি। ঈশ্বর পুত্র যিশু খ্রিস্ট জন্মগ্রহণ করেছেন এই পৃথিবীতে, এর মধ্য দিয়ে শান্তি নেমে আসুক। মানুষে মানুষে মিলন ঘটুক। মানুষ মুক্তি, আনন্দ ও স্বাধীনতা লাভ করুক।
বিশেষ এই দিনটি উপলক্ষে হলি রোজারিও গির্জার ভেতরে ও বাইরে সাজানো হয়েছিল। বাহারি রঙের বেলুন, ফুল ছাড়াও আলোকসজ্জায় বর্ণিল ছিল একাধিক ক্রিসমাস ট্রি। গোয়ালঘরে রাখা হয়েছিল শিশু যিশু খ্রিস্ট, মা মেরির প্রতিকৃতি। গির্জার প্রবেশ মুখে পুলিশ মোতায়েন ছিল। নিরাপত্তা তল্লাশি থেকে গির্জায় প্রবেশ করতে হয় সবাইকে। বেলা ১১টার দিকে খ্রিস্টযোগ শেষ হয়। এরপর উৎসবরে আমেজে গির্জায় ছবি তোলা ও কুশলাদি বিনিময়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সবাই।
যিশুভক্ত ক্রেইজা বলেন, ছোট-বড় সবাইকে নিয়ে দিনটি উদযাপন করছি। যিশু খ্রিস্ট সমাজে শান্তি ও ক্ষমা প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই জিনিসটি যেন আমরা নিজেদের মধ্যে ধারণ করতে পারি। একজনের আরেকজনের প্রতি ক্ষমাশীল হতে পারি।
তিনি বলেন, করোনা মহামারি কাটিয়ে সবাই যে একত্রিত হতে পেরেছি এটিই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া। ত্রাণকর্তা যেন আমাদের পাপ থেকে মুক্তি দিতে পারেন এটাই আজকে আমাদের চাওয়া।
খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট ২৫ ডিসেম্বর বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে ‘শুভ বড়দিন’ হিসেবে উদযাপন করে থাকেন।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টি-কর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টধর্মানুসারীরাও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্য্য ও আচারাদি, আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মধ্য দিয়ে ‘শুভ বড়দিন’ উদযাপন করছেন।
এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গির্জাগুলোকে সাজানো হয় নতুন-আঙ্গিকে। এ ছাড়া গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন গির্জা এবং তারকা-হেটেলগুলোতে ব্যবস্থা করা  হয় আলোক সজ্জার।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews