1. admin@thedailypadma.com : admin :
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেশ কিছু সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে - দ্য ডেইলি পদ্মা
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫২ অপরাহ্ন

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেশ কিছু সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে

  • Update Time : শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৯৫ Time View
ঈদের দুই দিন আগে দাম বেড়ে রাজধানীর বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছিল ৩৮০ থেকে ৩৯০ টাকা কেজি দরে। ঈদের দু-তিন দিন পর পর্যন্ত রাজধানীর বাজারগুলোয় এই বাড়তি দামেই মুরগি বিক্রি করা হচ্ছিল। তবে বুধবার থেকে রাজধানীর বাজারে মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে বেশ কিছু সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। আর বাড়তিতে বিক্রি হওয়া চিনির দাম আরো বেড়েছে। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেজিতে ১৬ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে খোলা চিনি।

খুচরা মুরগি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদ বাজারের পর বর্তমানে মুরগির দাম অনেকটা কমেছে। পাইকারিতে দাম কিছুটা কমায় খুচরায়ও মুরগির দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি দরে। ঈদের আগে দাম বেড়ে বাজারে  ব্রয়লার মুরগির কেজি হয়েছিল ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা আর সোনালি মুরগির কেজি হয়েছিল ৩৮০ থেকে ৩৯০ টাকা।

ঈদ ঘিরে বাজারে চিনির দামও আরেক দফা বেড়েছিল। সেই বাড়তি দামেই এখনো বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ কম। খোলা চিনি বিক্রি করা হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। সরকার খোলা চিনির সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দিয়েছে ১০৪ টাকা কেজি। কিন্তু প্রতি কেজি চিনি কিনতে ক্রেতাকে বাড়তি গুনতে হচ্ছে ১৬ টাকা। গত সাত মাসে সরকার পাঁচবার চিনির দাম বেঁধে দিয়েছে, কিন্তু কোনোবারই নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি হয়নি।

বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজি ও চিনির দাম কিছুটা বেড়ে বিক্রি হলেও চাল, ডাল, আটা, ময়দা, সয়াবিন তেলের দামে পরিবর্তন হয়নি। উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে এসব পণ্য। ফার্মের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) গতকাল বাজারদরের তালিকায় জানিয়েছে, রাজধানীর বাজারগুলোয় ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরে।

সরকার নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি না হওয়ার বিষয়ে রামপুরা বাজারের ভ্যারাইটিজ স্টোরের আবুল খায়ের বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের চিনির বস্তা কিনতে প্রতি কেজিতে পড়ে ১১৬-১১৭ টাকা। বিক্রি করছি ১২০ টাকা কেজি দরে। সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে ১০৪ টাকা। নির্ধারিত দামে বিক্রি করলে প্রতি কেজি চিনিতে আমাদের লোকসান হবে ১২-১৩ টাকা। এটা কোনো ব্যবসায়ীর পক্ষে সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, পাইকারি পর্যায়ে চিনির দাম না কমলে খুচরা পর্যায়ে দাম কমার সুযোগ নেই। বেশি দামে কিনে কেউ লস দিয়ে বিক্রি করবে না।

কারওয়ান বাজারের ব্রয়লার হাউসের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন গতকাল বলেন, ‘ঈদের আগে বাজারে মুরগির দাম বাড়তি ছিল। তখন ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা এবং সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৮০ থেকে ৩৯০ টাকায় বিক্রি করেছি। এখন বাজার অনেকটা কমতির দিকে। আজ (গতকাল) ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৪০ টাকা এবং সোনালি মুরগির কেজি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা।’

জোয়ারসাহারা বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম  বলেন, বাজারে মুরগির চাহিদা কিছুটা কমায় এখন দাম কমছে। তবে ব্রয়লারের তুলনায় সোনালির দাম বেশি কমেছে।

অন্যদিকে ঈদের পরে মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। পাইকারি বাজারে বিক্রি হয় ৩৬ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে। আর আলুর দাম ৫-৭ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে।

সবজির বাজার

ঈদের এক দিন আগে রাজধানীর বাজারে শসার চাহিদা অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় দেশি শসার কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। ঈদের পর দেশি শসার দাম কমে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদের আগের চেয়ে এখন বেশ কিছু সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, করলা (উস্তা) ৮০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচা আম ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চালকুমড়া প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ আকারভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

রামপুরা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে বাজারে সবজির দাম বাড়তির দিকে। কারওয়ান বাজারে আমদানি কম। এ কারণে বাজারে সবজির দাম বাড়তি। ঈদের পর এখনো কারওয়ান বাজারে সেভাবে সবজি আসা শুরু হয়নি। আগামী সপ্তাহ থেকে আসা শুরু করলে দাম কমে যাবে।

স্বস্তি নেই মাছের বাজারেও

প্রতি কেজি বোয়াল মাছ ৮০০ টাকা, পাবদা ৫০০ টাকা, টেংড়া ৭০০ টাকা, পুঁটি ৮০০ টাকা, ফলি মাছ ৭০০ টাকা, বাতাসী ৬০০-৮০০ টাকা, কোরাল ৭০০ টাকা, বাইলা ৮০০ টাকা, বাটা ৫০০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, মাগুর ৫০০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা, রুই ৩০০-৩৫০ টাকা, কাতল ৩৫০-৪০০ টাকা, রূপচাঁদা ১৪০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৭০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ১০০০ টাকা, পোয়া ৮০০ টাকা, তপসী ৭০০ টাকা, মলা ৬০০ টাকা, চাপিলা ৮০০ টাকা, ইলিশ ১৬০০-২০০০ টাকা। , কাচকি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিত্যপণ্যের বাজার

পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪০ টাকা, রসুন দেশি ১১০ থেকে ১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, দেশি আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, আমদানি করা চীনা আদা ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, আলু ৩৫ টাকা, মসুর ডাল (ছোট) ১৪০ টাকা, বড় মসুর ডাল ১০০ টাকা, পোলাওর চাল খোলা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, প্যাকেটজাত পোলাওর চাল ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews