1. admin@thedailypadma.com : admin :
ভারত থেকে ১২ টাকার পেঁয়াজ দেশে ঢুকলেই ৫০! - দ্য ডেইলি পদ্মা
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
নিরপেক্ষতার জন্য তফসিলের আগেই উপদেষ্টা পরিষদ থেকে দুই ছাত্র প্রতিনিধিকে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে জাকসু নির্বাচন: সন্ধ্যা নয়, ফলাফল হতে পারে রাত ১০টার পর জাকসু নির্বাচন : দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষিকার মৃত্যু কয়েক সপ্তাহ ধরেই চড়া সবজির বাজার এখনো উত্তাপ ছড়াচ্ছে, বেড়েছে মুরগির দাম কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হবে না: নেতানিয়াহু ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের বিকল্প আমাদের হাতে নেই: প্রধান উপদেষ্টা জাকসুর ভোট গণনা শুরু, প্রদর্শিত হচ্ছে এলইডি স্ক্রিনে এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা

ভারত থেকে ১২ টাকার পেঁয়াজ দেশে ঢুকলেই ৫০!

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০২৩
  • ৮৩ Time View
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে প্রতি কেজি ১০ থেকে ১২ টাকা দামে। এই পেঁয়াজই বগুড়ার কাঁচাবাজারে হাত বদলে চারগুণ দামে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া একটু নিম্নমানের পেঁয়াজ প্রকারভেদে কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর ও বগুড়ার রাজাবাজারে দেখা গেছে এ চিত্র।
ভারতের বালুরঘাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশটির ইন্দোর, মহারাষ্ট্র ও নাসিক থেকে বংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি হয়। দেশে আসা পেঁয়াজ জড়ো করা হয় বালুরঘাটে। সেখানে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকা কেজিতে। ভারত থেকে ট্রাকে ভাড়া বাবদ কেজি প্রতি ৫ থেকে ৬ টাকা খরচ হয় ব্যবসায়ীদের।
সেই পেঁয়াজ বাংলাদেশে এসে জেলা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে। বৃহস্পতিবার ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বাংলাদেশের হিলি পানামা পোর্টের ভেতর প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা কেজিতে। বগুড়ায় আসার পর এই পেঁয়াজের দাম হয়ে যাচ্ছে ৫০ টাকা।
দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্যের কথা চিন্তা করে বেশ কিছুদিন আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছিল। এ পরিস্থিতিতে বাজার হয়ে ওঠে অস্থির। এখন আমদানি শুরু হলেও বাজারে পেঁয়াজের দাম খুব একটা কমেনি। ভারত থেকে যে দামে আমদানি করা হচ্ছে, এর প্রায় চার গুণ দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে।
আমদানির অনুমতির পর দিনাজপুরের হিলি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে টনে টনে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। ৯ জন ব্যবসায়ী এসব পেঁয়াজ আমদানি করছেন।
তিন স্থলবন্দরের কাস্টমস স্টেশনের তথ্যে দেখা যায়, প্রতি চালানে কেজি প্রতি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ১২ থেকে ১৬ সেন্টে। ডলারের বিনিময়মূল্য ১০৮ টাকা ১৭ পয়সা ধরে মানভেদে আমদানিমূল্য দাঁড়ায় ১৫ টাকার মধ্যে। প্রতি কেজিতে কর গড়ে সাড়ে ৩ টাকা। এ হিসাবে শুল্ক-করসহ পেঁয়াজ আমদানিতে খরচ পড়ে ১৭ থেকে ১৮ টাকা।
বগুড়ার রাজাবাজারের ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলাম বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজ এখনো পুরোদমে বাজারজাত শুরু হয়নি। তবে আমদানির প্রভাবে দেশি পেঁয়াজের দাম এখন ৬৫-৭০ টাকায় নেমে এসেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ এখন যে দরে বিক্রি হচ্ছে, তা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন মহাজনরা বেশি দাম ধরায় খুচরা বাজারে দাম কমছে ধীরে। এছাড়াও অতিরিক্ত গরমে আমদানি হওয়া পেঁয়াজ নষ্ট হচ্ছে। এ কারণে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বেশি দাম রাখছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে সব খরচ যোগ করে প্রতি কেজি ২৫-২৬ টাকার কাছাকাছি পড়তা পড়তে পারে। ভোক্তা পর্যায়ে এই পেঁয়াজের দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। এখন বাজার তদারকি না করলে এই দর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হিলি বন্দরের স্থানীয় ব্যবসায়ী সাব্বির হোসেন বলেন, ভারতের পেঁয়াজ আমরা বন্দর থেকে কেনার আগেই ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাইকাররা বেশি দামে নিয়ে যান। এ কারণে ক্রেতারা দামে ঠকে যাচ্ছেন। ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার বগুড়া শহরের রাজাবাজারে দেশি পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখানকার খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রতি কেজি পেঁয়াজ তারা পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৬০ টাকা দরে কিনে ৭০ টাকায় বিক্রি করছেন। এরমধ্যে ক্রয়ের পাশাপাশি পরিবহন খরচ ও কুলির মজুরিও আছে।
অথচ পাঁচদিন আগেও খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজিতে এবং আমদানি পেঁয়াজ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
তারা আরও জানান, ভারতীয় বেশিরভাগ পেঁয়াজ খাওয়ার অনুপযোগী। প্রতি বস্তায় অন্তত তিন-চার কেজি পচা বের হচ্ছে। এজন্য সাধারণ ক্রেতারা ভারতীয় পেঁয়াজ কিনতে অনীহা দেখাচ্ছেন। ফলে আবারো দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাচ্ছে।
কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আসে। সব মিলিয়ে সাত-আট দিন সময় লাগে। তীব্র গরমে এই পেঁয়াজ নষ্ট হচ্ছে।
বগুড়া রাজাবাজার আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, বৃহস্পতিবার দেশি পেঁয়াজ তাদের ৬০ টাকা কেনা পড়েছে। এখানে ব্যবসায়ীরা কমিশন পান। ওই দামেই তারা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন।
তিনি বলেন, হিলি, সোনামসজিদ ও ভোমরা হয়ে গত রোববার থেকে দিনে গড়ে তিন-চার ট্রাক করে পেঁয়াজ বগুড়ার বাজারে এসেছে। বগুড়ায় দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। ভারতের পেঁয়াজের চাহিদা চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বেশি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews