
ঈদের তৃতীয় দিনেও রাজধানী ঢাকা ছাড়ছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। তার মধ্যে ঈদ শেষে শুরু হয়েছে বাড়ি থেকে ঢাকায় ফেরার পালাও। কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই রাজধানীতে ফিরছেন মানুষ।
শনিবার (১ জুলাই) রাজধানীর অন্যতম প্রবেশদ্বার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে এ চিত্র দেখা গেছে। সেখানকার কাউন্টারগুলোতে চোখে পড়েছে চিরচেনা ব্যস্ততা। এখনো নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। পাশাপাশি কর্মের প্রয়োজনে ঢাকায় ফেরাও শুরু হয়ে গেছে। সকাল থেকে সব গাড়ি যাত্রীপূর্ণ করেই এলাকা থেকে সায়েদাবাদে এসেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা আল-আরাফাহ পরিবহনের যাত্রী আলমগীর জানান, তাদের স্বাভাবিক সময়ে ভাড়া ৪০০ টাকা। ঈদে ৫০০ করে রাখা হয়েছে। তবে, যাত্রী সংকট নেই, আবার অতিরিক্তও না। ঈদ উপলক্ষে ভালোই যাত্রীর চাপ আছে। তবে, পর্যাপ্ত গাড়িও আছে।
চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা পদ্মা এক্সক্লুসিভের যাত্রী আব্দুল মালেক বলেন, আমরা সপরিবারে চাঁদপুর থেকে ঢাকা এসেছি। সকাল সকাল রওনা হওয়ায় গাড়ি পেতে বেগ পেতে হয়নি। তবে যাত্রী ভরপুর। গাড়ির সিট খালি আসেনি। ভাড়া স্বাভাবিক সময়ে ৩৫০ টাকা, ঈদে ৪৫০ টাকা রেখেছে।
চাঁদপুরের কচুয়া থেকে ছেড়ে আসা সুরমা পরিবহনের যাত্রী জরিনা বেগম জানান, তাদের কাছ থেকে স্বাভাবিক সময়ের মতোই ভাড়া রাখা হয়েছে। তবে, সড়কে যাত্রী ও গাড়ির চাপ দেখেছেন।
এছাড়া সিলেট-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা রাজধানী ঢাকার সায়েদাবাদমুখী গাড়িগুলো যাত্রীবোঝাই করেই আসতে দেখা গেছে। একই চিত্র যাওয়ার ক্ষেত্রেও। রাজধানীর অন্যতম বাস টার্মিনাল সায়েদাবাদ থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সন্তোষজনক যাত্রী নিয়ে ছাড়ছে বিভিন্ন পরিবহন।
নূরুল ইসলাম নামের মসজিদের একজন ইমাম জানান, তিনি মসজিদে নামাজ পড়িয়ে দুইদিনে সব কাজ গুছিয়ে আজ যাচ্ছেন নিজ গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ায়।
মাদরাসাছাত্র নাইম শেখ বলছেন, আমরা মাদরাসায় দুইদিনে চামড়া কালেকশন ও বিক্রির কাজ করেছি। এখন বাড়ি যাচ্ছি। এদের মতো অনেক যাত্রীই নানা কারণে ঈদের দুদিন পর বাড়ি যাচ্ছেন।
চিরচেনা যানজটের এ টার্মিনালটিতে স্বস্তি মিলেছে। নগর ও নগরের বাইরের পরিবহনে যানজটে নাকাল থাকা টার্মিনালটি এখন বেশ স্বাভাবিক দেখা গেছে।
Leave a Reply