1. admin@thedailypadma.com : admin :
সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার এক সপ্তাহ পরও বাজারে ইলিশের তেমন দেখা নেই - দ্য ডেইলি পদ্মা
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
নিরপেক্ষতার জন্য তফসিলের আগেই উপদেষ্টা পরিষদ থেকে দুই ছাত্র প্রতিনিধিকে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে জাকসু নির্বাচন: সন্ধ্যা নয়, ফলাফল হতে পারে রাত ১০টার পর জাকসু নির্বাচন : দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষিকার মৃত্যু কয়েক সপ্তাহ ধরেই চড়া সবজির বাজার এখনো উত্তাপ ছড়াচ্ছে, বেড়েছে মুরগির দাম কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হবে না: নেতানিয়াহু ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের বিকল্প আমাদের হাতে নেই: প্রধান উপদেষ্টা জাকসুর ভোট গণনা শুরু, প্রদর্শিত হচ্ছে এলইডি স্ক্রিনে এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা

সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার এক সপ্তাহ পরও বাজারে ইলিশের তেমন দেখা নেই

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০২৩
  • ৯৭ Time View
সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার এক সপ্তাহ পরও বাজারে ইলিশের তেমন দেখা নেই। ট্রলার মালিক ও মৎস্য শিকারিদের আশা ছিল, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাবে। বর্ষা মৌসুমের শ্রাবণের মধ্য সময়ে এসেও ইলিশের দেখা না পেয়ে সংশ্লিষ্ট সবাই হতাশ। তবে ইলিশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৃষ্টি না হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।

এ ছাড়া অন্যান্য কারণও রয়েছে। তবে হতাশ হয়ে হাল ছাড়লে চলবে না। জেলেদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে পূর্ণিমার সময় জালে পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়ার সম্ভাবনা আছে।
চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার ও বহদ্দারহাট এলাকায় গিয়ে গতকাল সোমবার জানা যায়, বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম। দু-একজন বিক্রেতা হাতে গোনা কয়েকটি ইলিশ নিয়ে বসে আছেন ক্রেতার আশায়। চকবাজারের মাছ বিক্রেতা দীপক তাঁর থালায় ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ৯-১০টি ইলিশ নিয়ে বসে আছেন। দাম হাঁকছেন প্রতি কেজি এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও পাইকারি বাজারের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ বদরুদ্দৌজা বলেন, ২৩ জুলাই রাতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর ৩০ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন জাতের ৩৫ টন মাছ এসেছে। এর মধ্যে ইলিশ ছিল মাত্র চার টন।

সাগর থেকে হতাশ হয়ে ফিরছেন ভোলার জেলেরা

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সামরাজ মাছঘাটের জেলে আবুল হাসেম মাঝি গত ২৩ জুলাই সামরাজঘাট থেকে ১৮ জন মাঝি-মাল্লাসহ প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ করে মাছ ধরার সরঞ্জাম ও খাবার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যান। ছয় দিন পর আবার ঘাটে ফিরে এসে মাত্র এক লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেন। এতে তাঁর ৫০ হাজার টাকার ওপরে লোকসান হয়েছে।

কলাপাড়ায় সরবরাহ কম

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মৎস্যবন্দর আলীপুর ও মহিপুরে বেশির ভাগ মাছের আড়তে সুনসান নীরবতা। ভরা মৌসুমে ইলিশের সরবরাহ না বাড়ায় জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদেও মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা।

আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবসায়ী মো. মিজানুর রহমান বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কিছুটা শান্ত হলেও দুই দিন ধরে জেলেরা সাগরে ইলিশ পাচ্ছেন না। এখন এক কেজি ওজনের ইলিশ মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকায়, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকায় এবং ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের প্রতি মণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকায়।

চাঁদপুরে সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে

চাঁদপুরের পাইকারি বাজারে ইলিশের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। তবে দাম এখনো সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারি বাজারে প্রতি মণ ইলিশের দাম পাঁচ থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত কমেছে। গতকাল নোয়াখালী সদরের চেয়ারম্যানঘাট হয়ে হাতিয়া ও তার আশপাশে ধরা পড়া ইলিশের বড় একটি চালান চাঁদপুরে পৌঁছে।

চাঁদপুরের বড় স্টেশন পাইকারি মাছ বাজারের ব্যবসায়ী সম্রাট বেপারী গতকাল জানান, গত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। কিন্তু সেই অনুপাতে দাম কমেনি। এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে প্রতি মণ ৫৮ থেকে ৬০ হাজার টাকায়। ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৫২ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকায়। আর ৫০০ গ্রামের নিচে প্রতি মণ ৩৫ থেকে ৩৮ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া দুই কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি দুই হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শবেবরাত জানান, বড় স্টেশন পাইকারি মাছ বাজারে গতকাল সব মিলিয়ে ৭০০ মণ ইলিশ বেচাকেনা হয়েছে। আগের বছরগুলোতে এই সময় দু-তিন হাজার মণ ইলিশ বেচাকেনা হতো।

ইলিশ গবেষকের প্রত্যাশা

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের চাঁদপুর নদী কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইলিশ গবেষক ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নানা কারণে প্রত্যাশা অনুসারে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বর্ষা মৌসুমে আমাদের এখানে পর্যাপ্ত বৃষ্টি নেই। বৃষ্টি, নদীতে পানিপ্রবাহ—এসবের সঙ্গে ইলিশের প্রজনন ও উৎপাদন জড়িত। এবার অনাবৃষ্টির কারণে নদীতে স্রোত নেই, নদীর মোহনায় লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় ইলিশ নদীমুখো হচ্ছে না বা উপকূলের কাছাকাছি আসছে না। ইলিশ স্রোতের প্রতিকূলে চলতে ভালোবাসে। কাঙ্ক্ষিত স্রোত না থাকায় উজানে ইলিশ আসছে না। আমাদের পর্যবেক্ষণ এবং চাঁদপুর, ভোলা অঞ্চলের জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের মেঘনা মোহনা পর্যন্ত দেড় শতাধিক ডুবোচর রয়েছে, যার কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে, ইলিশের স্বাভাবিক চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে। এ ছাড়া পরিবেশ বদলের সঙ্গে সঙ্গে নদ-নদীতে প্রাকৃতিক খাদ্যের পরিমাণও কমে গেছে। এসব কারণে নদীতে ইলিশ কমেছে, অন্যদিকে সাগরে বেড়েছে। আরেকটি সমস্যা হচ্ছে জেলেদের জাল। সমুদ্র থেকে নদীতে আসার পথে জেলেরা জাল পেতে রাখছেন। জেলেরা জানেন কোন পথে ইলিশ আসবে। বড় ইলিশ ওই জালেই আটকে যাচ্ছে। নদীতে আসতে পারছে না।’

তথ্য সূত্র: কালের কণ্ঠ

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews