1. admin@thedailypadma.com : admin :
ফরিদপুরের বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম, চলছে প্রশাসনের কঠোর মনিটরিং - দ্য ডেইলি পদ্মা
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫২ অপরাহ্ন

ফরিদপুরের বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম, চলছে প্রশাসনের কঠোর মনিটরিং

  • Update Time : সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৯৫ Time View

মাহবুব পিয়াল,ফরিদপুর : ফরিদপুরে হঠাৎ করে অস্থির হওয়া পেঁয়াজের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।

ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবরে বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম আবার কমতে শুরু করেছে  ফরিদপুরের বাজার গুলোতে। গত দুই দিনের ব্যববধানে নতুন পেঁয়াজের দর কমেছে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০টাকা আর পুরানোর দাম ২০-৩০ টাকা হারে ।

সোমবার জেলা শহর ও আশে-পাশের বাজার গুলোতে ঘুরে দেখা যায়, মুড়িকাটা পেঁয়াজ খুচরা বিক্রয় হচ্ছে কেজি প্রতি প্রকার ভেদে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে। আর দেশী পুরাতন পেঁয়াজ বিক্রয় হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০টাকা দরে । যা গত দুই/তিন দিন আগে এই বাজার গুলোতে মুড়িকাটা (নতুন) পেঁয়াজ বিক্রয় হয়েছে ১৪৫-১৫০ এবং দেশী (পুরাতন) পেঁয়াজ বিক্রয় হয়েছিল ২০০ টাকা দর পর্যন্ত।

সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মিগযাউমের’ প্রভাবে টানা তিন-চার দিনে ধারাবাহিক বৃষ্টিতে এ জেলার পেঁয়াজের ক্ষেত গুলো পানি জমে যায়। এতে চাষীরা নতুন পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে তুলতে পারেনি । অন্য দিকে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বন্ধের খবরে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্য পণ্যের এ পেঁয়াজের দর বাড়িয়ে দেয়।

এদিকে হঠাৎ বাজার অস্থিরতা নিয়ন্ত্রনে জেলা প্রশাসনের পক্ষে ভোক্তার অধিদপ্তরের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে জরিমানা করা হয়।

এ দিকে জেলার পেঁয়াজ চাষীরা জানিয়েছেন, অতিবৃষ্টির কারনে ক্ষেতে পানি জমে যাওয়ায় মাঠে নামতে পারছে না তারা। তবে ভালো রোদ হলে কয়েক দিনের মধ্যে আবার পুরোদমে নতুন পেঁয়াজ বাজারে তোলা সম্ভাব হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ- পরিচালক কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, জেলার তিন প্রকারের পেঁয়াজের আবাদ হয়। এর মধ্যে শীতকালনি মুড়িকাটা পেঁয়াজ, গ্রীষ্মকালীন হালি পেঁয়াজ এবং দানা পেঁয়াজ । এ তিন ধরনের পেঁয়াজের মধ্যে হালি পেঁয়াজ বেশি আবাদ হয় ।

তিনি বলেন, জেলায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছিলো শীতকালিন এই পেঁয়াজটি। যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধারা হয়ে ছিলো লক্ষাধিক মেট্রিকটন।

এদিকে সোমবার দুপুরে ভোক্তা অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে পেঁয়াজের দাম কমে আসে মন প্রতি ৭০০-৮০০ টাকা। জেলার সদর উপজেলার মোমিনখার হাটে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে ফরিদপুর জেলা ভোক্তা অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন কর্তৃক মুড়িকাটা পেঁয়াজের সদর উপজেলার মোমিনখার হাটে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই অভিযানের খবরে আড়তে মন প্রতি পেঁয়াজ রবিবার ৪৬০০-৪৭০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও সোমবার বিক্রি হয় ৩৮০০-৩৯০০ টাকা। যা রবিবারের তুলনায় মন প্রতি ৭০০-৮০০ টাকা কম। কেজি প্রতি নতুন পেঁয়াজ পাইকারি ৯০-১০০ টাকা এবং খুচরা ১১০-১১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।

দুপুরে মোমিনখার হাটে পেঁয়াজের আড়তে মূল্য তালিকা ও পাকা ক্রয়-বিক্রয় রশিদ না থাকায় জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাজিদ-উল-মাহমুদ কর্তৃক মেসার্স নওশাদ ট্রেডার্সকে ১০০০ টাকা এবং জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ সোহেল শেখ কর্তৃক মেসার্স সেলিম স্টোরকে ২,০০০ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়েছে। এসময় জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মোঃ মো: বজলুর রশিদ খান, জেলা পুলিশের ২টি টিম উপস্থিত থেকে অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন।

উল্লেখ্য সোমবার শহরের হাজী শরীয়তউল্লাহ বাজারে পুরাতন হালি পেঁয়াজ প্রতি কেজি পাইকারি ১৩০-১৪০ টাকা এবং খুচরা ১৫০-১৬০ টাকা এবং বিদেশী ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১১০-১১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ অনেক বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দাম অনেকটাই কমতে শুরু করেছে মুড়ি কাটা পেঁয়াজের।#

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews