এবার ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিলো পর্তুগাল। স্থানীয় সময় রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো রাঙ্গেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে দেশটির প্রতি পশ্চিমা বিশ্বের সর্বশেষ প্রতীকী স্বীকৃতি এটি।
নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া আমাদের দীর্ঘদিনের নীতি ও প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। তিনি আরও বলেন, পর্তুগাল মনে করে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) শুরু হতে যাওয়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে এই ঘোষণা এলো যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবিকে আরও জোরালো করলো।
যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর পর্তুগালও একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।ইউরোপের আরও তিনটি দেশ স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে গত বছরই এই পদক্ষেপ নিয়েছে। জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ এরই মধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে ইসরায়েলি সরকার, জিম্মিদের পরিবার ও কিছু কনজারভেটিভ নেতা। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, এমন পদক্ষেপ ‘সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করার’ সমান।
তবে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা বলেন, দীর্ঘমেয়াদি শান্তির আশা টিকিয়ে রাখতে নৈতিক দায়িত্ব থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে গাজার পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তারা বলছে, গাজায় অনাহার ও সহিংসতার চিত্র সহ্য করা যাচ্ছে না।
ইসরায়েলের সর্বশেষ স্থল অভিযানকে এক জাতিসংঘ কর্মকর্তা ‘মহাপ্রলয়সদৃশ’। দখলদার বাহিনীর অভিযানে লাখ লাখ মানুষ গাজা সিটি থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে জাতিসংঘের এক তদন্ত কমিশন উপসংহার টানে যে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল গণহত্যা চালিয়েছে। ইসরায়েল এই প্রতিবেদনকে ‘বিকৃত ও মিথ্যা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
Leave a Reply