1. admin@thedailypadma.com : admin :
উদ্বোধনের অপেক্ষায় গর্বের প্রতীক হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা পদ্মা সেতু - দ্য ডেইলি পদ্মা
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:১৬ অপরাহ্ন

উদ্বোধনের অপেক্ষায় গর্বের প্রতীক হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা পদ্মা সেতু

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০২২
  • ১৪১ Time View
উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে প্রমত্তা পদ্মা নদীর বুকে গর্বের প্রতীক হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা পদ্মা সেতু। অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ। আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সেতুটির বর্তমান অবস্থানের পেছনের ইতিহাস অত্যন্ত চমকপ্রদ ও ঘটনাবহুল। পদ্মা সেতুটি একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হয়েছে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটেছে। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু ইতিহাসের একটি সবচেয়ে বড় ও চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প। দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে রয়েছে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরটিতে থাকবে একটি একক রেলপথ। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৪১টি স্প্যান ইতিমধ্যে বসানো সম্পন্ন হয়েছে। ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮ দশমিক ১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় সেতুটি। পদ্মা সেতু নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি আগেই জানিয়েছিল, পদ্মা সেতু যান চলাচলের উপযোগী হতে ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
২০০৮-০৯ সালে প্রকল্প প্রস্তুতির সাথে যুক্ত কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠিয়ে বিশ্বব্যাংক তার প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করে নেয় এবং অন্যান্য দাতারা সেটি অনুসরণ করে। কিন্তু পরবর্তীতে এমন কোনো অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় কানাডিয়ান আদালত মামলাটি বাতিল করে দেন। দুর্নীতির অভিযোগ পরবর্তীতে আদালতে খণ্ডিত হয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তখন কোন প্রকার বিদেশি সাহায্য ছাড়াই প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব সম্পদ থেকে অর্থায়ন করার সিদ্ধান্ত নেন।
এইকম-এর নকশায় পদ্মা নদীর উপর বহুমুখী আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প ‘পদ্মা বহুমুখী সেতুর’ নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০১১ সালে। মূল প্রকল্পের পরিকল্পনা করে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের ২৮ আগস্ট। সে সময় ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্প পাস করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এসে রেলপথ সংযুক্ত করে ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি প্রথম দফায় সেতুর ব্যয় সংশোধন করে। তখন এর ব্যয় ধরা হয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা।
পরে নদী শাসন ও পাইলিংয়ের জটিল কাজের কারনে পদ্মা সেতুর ব্যয় আরও আট হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়। ফলে পদ্মা সেতুর ব্যয় দাঁড়ায় সব মিলিয়ে ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বাসেক) ২০১০ সালের এপ্রিলে প্রকল্পের জন্য প্রাক যোগ্যতা দরপত্র আহবান করে। প্রথম পরিকল্পনা অনুসারে, ২০১১ সালের শুরুর দিকে সেতুর নির্মাণ কাজ আরম্ভ হওয়ার কথা ছিল এবং ২০১৩ সালের মধ্যে প্রধান কাজগুলো শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রকল্পটি তিনটি জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করছে- মুন্সীগঞ্জ (মাওয়া পয়েন্ট/উত্তর পাড়), শরীয়তপুর এবং মাদারীপুর (জঞ্জিরা/দক্ষিণ পাড়)। এটির জন্য প্রয়োজনীয় এবং অধিগ্রহণকৃত মোট জমির পরিমাণ ৯১৮ হেক্টর।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর সম্পূর্ণ নকশা করার জন্য এইকমের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরামর্শকদের নিয়ে গঠিত একটি দল তৈরি করা হয়। অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে ১১ সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সভাপতি নিযুক্ত করা হয়। এ প্যানেল সেতুর নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন পর্যায়ে প্রকল্প কর্মকর্তা, নকশা পরামর্শক ও উন্নয়ন সহযোগীদের বিশেষজ্ঞ পরামর্শ প্রদান করে। পদ্মা সেতুর ভৌত কাজকে মূলত পাঁচটি প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছিল। যথা- (ক) মূল সেতু, (খ) নদী শাসন, (গ) জাজিরা সংযোগকারী সড়ক, (ঘ) টোল প্লাজা এবং (ঙ) মাওয়া ও জাজিরা সার্ভিস এলাকা।
প্রকল্পে নিয়োজিত নকশা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘মনসেল-এইকম’ ভৌত কাজের ঠিকাদার নিয়োগের প্রাক-যোগ্যতা দরের নথি প্রস্তুত, টেন্ডার আহ্বানের পর টেন্ডার নথি মূল্যায়ন, টেন্ডার কমিটিকে সহায়তাসহ এ-সংক্রান্ত যাবতীয় কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেল নকশা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাজ তদারক করতে নিয়োজিত ছিল। ভৌত কাজের বিভিন্ন প্যাকেজের জন্য দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছিল। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি।
প্রথম দিকে পদ্মা নদীর তলদেশের মাটি খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয় সেতু নির্মাণকারী প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞদের। তলদেশে স্বাভাবিক মাটি পাওয়া যায়নি। সেতুর পাইলিং কাজ শুরুর পরে সমস্যা দেখা যায়। প্রকৌশলীরা নদীর তলদেশে কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় মাটির বদলে নতুন মাটি তৈরি করে পিলার গাঁথার চেষ্টা করে। স্ক্রিন গ্রাউটিং নামের এই পদ্ধতিতেই বসানো হয় পদ্মাসেতু। এরকম পদ্ধতির ব্যবহারের নমুনা বিশ্বে তেমন একটা নেই।
এ প্রক্রিয়ায় ওপর থেকে পাইপের ছিদ্র দিয়ে কেমিক্যাল নদীর তলদেশে পাঠিয়ে মাটির শক্তিমত্তা বাড়ানো হয়েছে। তারপর ওই মাটিতে গেঁথে দেওয়া হয়েছে পিলার। এমন পদ্ধতির প্রয়োগ বাংলাদেশে এই প্রথম। এ পদ্ধতিতে পাইলের সঙ্গে স্টিলের ছোট ছোট পাইপ ওয়েল্ডিং করে দেওয়া হয়। পাইপের ভেতর দিয়ে এক ধরনের কেমিক্যাল পাঠিয়ে দেওয়া হয় নদীর তলদেশের মাটিতে। কেমিক্যালের প্রভাবে তখন তলদেশের সেই মাটি শক্ত রূপ ধারণ করে। একপর্যায়ে সেই মাটি পাইলের লোড বহনে সক্ষম হয়ে ওঠে। তখন আর পাইল বসাতে কোনো বাধা থাকে না।
পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট খরচ করা হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি। বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে সরকার। এক শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর পদ্মা সেতুতে পিলারের ওপর বসানো হয় প্রথম স্প্যান। শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে এই স্প্যান বসানো হয়। ১০ ডিসেম্বর ২০২০ সালে পদ্মা সেতুর ১২ ও ১৩ তম পিলারে ৪১তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পুরো পদ্মা সেতু। ২৩ আগস্ট ২০২১ সর্বশেষ সড়ক স্ল্যাব বসানো হয়। ২০১৪ সালের ১৭ জুন পদ্মা সেতু নির্মাণে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার ও চীনা চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে চীনের কোম্পানিটি পদ্মা সেতুর কার্যাদেশ পায়।
পদ্মা সেতু নির্মাণে ২০১০ সালে প্রথম দরপত্র আহ্বান করা হলে সেখানে প্রি-কোয়ালিফিকেশনের জন্য ৪০ টি কোম্পানি অংশ নেয়। বিশ্বব্যাংক, জাইকা ও এডিবির তত্ত্বাবধানে এদের মধ্যে পাঁচটি কোম্পানিকে বাছাই করা হয়। পরে বিশ্বব্যাংকের আপত্তির কারনে একটি কোম্পানি বাদ পড়ে যায়। আর্থিক প্রস্তাব আহ্বান করলে শুধুমাত্র চীনের এই কোম্পানিটি আর্থিক প্রস্তাব জমা দেয়। এটি চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড এর আওতাধীন একটি কোম্পানী। কাজ শুরু হয় ৭ ডিসেম্বর ২০১৪।
২০২২ সালের জুন পর্যন্ত, ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দ্বি-স্তরের পদ্মা বহুমুখী সেতুর সবকাজ প্রায় সম্পন্ন। মূল সেতুর জন্য নিযুক্ত চীন মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন (এমবিইসি) কাজটি সম্পাদন করেছে। নদী প্রশিক্ষণের জন্য চার মাস ধরে মাটি পরীক্ষা ও ড্রেজিংয়ের কাজ চলেছে। ব্রিজটিতে মোট পিলার আছে ৪২ টি। প্রত্যেক পিলারের নীচে ছয়টি পাইল। স্তম্ভগুলোতে ইস্পাত স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। ব্রিজটির মোট ৪১টি স্প্যান।
চীনের সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন নদীর প্রশিক্ষণ কাজের জন্য নিয়োগ পেয়েছিল এবং বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লিমিটেডকে দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণের চুক্তি দেওয়া হয়। অক্টোবর ২০১৭ সালে, মূল নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার দেড় বছরেরও বেশি সময় পরে ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর, ৪২টির মধ্যে ৪২টি পিলারের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে । এই সেতুর চূড়ান্ত (৪১তম) স্প্যানটি বসানো হয় ১০ ডিসেম্বর ২০২০ সালে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প মাওয়া-জাজিরা পয়েন্ট দিয়ে নির্দিষ্ট পথের মাধ্যমে দেশের কেন্দ্রের সাথে দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সরাসরি সংযোগ তৈরি করেছে। এই সেতুটি অপেক্ষাকৃত অনুন্নত অঞ্চলের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখবে। প্রকল্পটির ফলে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৪৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার বা বাংলাদেশের মোট এলাকার ২৯ ভাগ অব্জলজুড়ে তিন কোটিরও অধিক জনগণ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে। ফলে প্রকল্পটি দেশের পরিবহন নেটওয়ার্ক এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সেতুটিতে রেল, গ্যাস, বৈদ্যুতিক লাইন এবং ফাইবার অপটিক কেবল সম্প্রসারণের ব্যবস্থা রয়েছে। এই সেতুটি কার্যকর হলে দেশের জিডিপি এক দশমিক দুই শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।

পদ্মা সেতুর টোলের তালিকা ২০২২

যানবাহন টোল
মোটরসাইকেল ১০০
কার/জিপ ৭৫০
পিকআপ ১,২০০
মাইক্রোবাস ১,৩০০
ছোট বাস ১,৪০০
মাঝারি বাস ২,০০০
বড় বাস ২,৪০০
ছোট ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত) ১,৬০০
মাঝারি ট্রাক (৫-৮ টন) ২,১০০
মাঝারি ট্রাক (৮-১১ টন) ২,৮০০
ট্রাক (৩ এক্সেল পর্যন্ত) ৫,৫০০

পদ্মা সেতু ব্যবহারকারী ১৩ রুটের বাস ভাড়া নির্ধারণ

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করে এমন ১৩ রুটের ভাড়ারপদ্মা সেতুর টোল সমন্বয় করে ভাড়া ১০ থেকে ১১ টাকা বাড়ানো হবে।

তবে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের জন্য সরকার টোল আরোপ শুরু করলে বাস ভাড়া আবারো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার।

ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের জন্য সরকার টোল আরোপ করলে,যেভাড়া নির্ধারন হতে পারে।

  • ঢাকা-ভাঙ্গা-মাদারীপুর-বরিশালের ভাড়া ৪১২ টাকা,
  • ঢাকা-রাজৈর-গোপালগঞ্জের ভাড়া ৫০৪ টাকা,
  • ঢাকা-গোপালগঞ্জ-খুলনার ভাড়া ৬৪৯ টাকা,
  • ঢাকা-জাজিরা-শরীয়তপুরের ভাড়া ২১৮ টাকা,
  • ঢাকা-বরিশাল-পিরোজপুরের ভাড়া ৫৩৪ টাকা,
  • ঢাকা-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট-পিরোজপুরের ভাড়া ৬২৮ টাকা,
  • ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালীর ভাড়া ৫০১ টাকা,
  • ঢাকা-ভাঙ্গা-মাদারীপুরের ভাড়া ৩২৭ টাকা,
  • ঢাকা-গোপালগঞ্জ-খুলনা-সাতক্ষীরার ভাড়া ৬৩৩ টাকা,
  • ঢাকা-ভাঙ্গা-ফরিদপুরের ভাড়া ২৮৮ টাকা,
  • ঢাকা-মাদারীপুর-বরিশাল-ভোলা-চর ফ্যাশনের ভাড়া ৬৫৩ টাকা,
  • ঢাকা-বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু-শরীয়তপুরের ভাড়া ২১৯ টাকা,
  • এবং ঢাকা-মাদারীপুর-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটার ভাড়া ৬৯৪ টাকা হবে।

সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত টোলহার সেতু চালুর ১৫ বছরের জন্য প্রযোজ্য হবে।

প্রতি ১৫ বছর পরপর টোলের হার ১০ শতাংশ করে বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল দিতে যেভাবে নিবন্ধন করবেন

ডিজিটাল পেমেন্টের জন্য যানবাহনে অবশ্যই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) অনুমোদিত সচল আরএফআইডি ট্যাগ থাকতে হবে। গাড়ির মালিক ব্যাংকে বা টোলপ্লাজায় গিয়ে আরএফআইডির জন্য সরাসরি নিবন্ধন করাতে পারবেন। মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনের মালিকদের অবশ্যই ডাচ্-বাংলা ব্যাংক অথবা রকেট মোবাইল ব্যাংকিংয়ে হিসাব থাকতে হবে। রকেট অ্যাকাউন্টটি নেক্সাস-পে অ্যাপ্লিকেশনটিতে আগে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের পর তারা ইলেকট্রনিক টোল দেয়ার এ সুবিধা পাবেন।

যেভাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল কাটা হবে

আরএফআইডি সাদা রঙের একটি কার্ড যা গাড়ির সামনের অংশের ড্যাশবোর্ডে থাকবে। আরএফআইডি নম্বরটি সংযুক্ত থাকবে ব্যাংক হিসাবের সঙ্গে। অথবা এ আইডিতে অগ্রিম টাকা রিচার্জ করতে হবে। এটি সম্পূর্ণ প্রি-পেইড কার্ড। টোলপ্লাজায় একটি যন্ত্র থাকবে। আরও থাকবে কার্ড রিডার। যতবার গাড়ি পদ্মা সেতুতে উঠে ইটিসি বুথ দিয়ে যাবে ততবার বেঁধে দেয়া টোলের টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেবে। পাশাপাশি গাড়ির মালিকের মোবাইলে এসএমএস করে জানিয়ে দেয়া হবে- কত টাকা কেটে নেয়া হলো।

ডিভাইসটি যেভাবে কাজ করবে

আরএফআইডি ডিভাইসটি মূলত কাজ করে বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে। এটি অনেকটা পণ্যের বারকোড দেখার প্রযুক্তির মতো। তবে পার্থক্য হলো, আরএফআইডি ব্যবহার করে কিছুটা দূরের ট্যাগ বা কোডও পড়া যায়। এতে টোলপ্লাজায় গাড়িকে অপেক্ষা করতে হবে না।

দেশের মানুষের বহুল প্রতীক্ষিত এই সেতু আগামী ২৫ জুন সকাল ১০টায় উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews