দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে সরকার। সে হিসেবে প্রায় ১২ লাখ মানুষ টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তার কাছাকাছি পৌঁছানোর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে নয় কোটি ২৪ লাখ ২৬ হাজার ২৩৩ জন, যা লক্ষ্যমাত্রার ৭৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। আর দুই ডোজ পেয়েছেন পাঁচ কোটি ৮০ লাখ পাঁচ হাজার ২৫৯ জন, যা লক্ষ্যমাত্রার ৪৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এছাড়া ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থী এক কোটি ২৮ লাখ ৯৭ হাজার ৯০৯ জন টিকা পেয়েছে। এছাড়া ষাটোর্ধ্ব, সম্মুখ সারির কর্মী এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে দেওয়া হচ্ছে করোনার টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ। বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৫৫২ জনকে।
তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩ লাখ ১৭ হাজারের বেশি। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ওই বছর ডিসেম্বরে শেষ দিকে সরকার যে পরিকল্পনা করেছিল, তাতে ৮০ শতাংশ বা ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার কথা ছিল। পরে করোনার মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ীই মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য নেওয়া হয়। সেই হিসাবে ১১ কোটি ৯২ লাখ ২১ হাজারের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ীই দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে। আমাদের টার্গেট ৭০ শতাংশ মানুষকে দেওয়া। এছাড়া আমাদের দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ দেশের বাইরে আছেন। তাদের কেউ কেউ আমাদের এখান থেকে টিকা নিয়ে যায়, আবার বিদেশ থেকে কেউ কেউ টিকা নিয়ে আসেন। সে হিসাবে আমরা যে লক্ষ্যের কথা বলেছি তা ঠিক আছে।
তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ১৫ কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছি। প্রথম ডোজ দিয়েছি ৯ কোটি ২৪ লাখ ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে পাঁচ কোটি ৮০ লাখ ডোজ। আমাদের হাতে আরও প্রায় ৯ কোটি ডোজ টিকা রয়েছে। সবাই (লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী) টিকা পাবেন এমন টিকা মজুদ রয়েছে।
Leave a Reply