অভিযোগ প্রমাণের আগে ব্যাংকের কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না। এছাড়া অদক্ষতার অজুহাত দেখিয়ে কর্মীদের পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত অথবা পদত্যাগে বাধ্য না করারও নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নির্দেশনা জারি করে। নির্দেশনায় দেশের বেসরকারি ব্যাংকের কর্মীদের চাকরির শুরুর বেতন কাঠামো বেঁধে দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, অ্যাসিস্টেন্ট অফিসার বা ট্রেইনি অ্যাসিস্টেন্ট অফিসার বা ট্রেইনি অ্যাসিস্টেন্ট ক্যাশ অফিসার অথবা সমপর্যায়ের কর্মকর্তা, যে নামেই অবিহিত হোক না কেন, ব্যাংকের এন্ট্রি লেভেলে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের শিক্ষানবিশকালে ন্যূনতম বেতন হবে ২৮ হাজার টাকা। শিক্ষানবিশকাল শেষ হলে এ ধরনের ব্যাংক কর্মকর্তাদের শুরুর মূল বেতনসহ ন্যূনতম মোট বেতন-ভাতা হবে ৩৯ হাজার টাকা। পাশাপাশি নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে না পারলে বা অদক্ষতার অজুহাতে কোনও ব্যাংকারকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া যাবে না।
আগের ওই নির্দেশনা সার্বিকভাবে বিশ্লেষণ না করে কোনও কোনও পর্যায় থেকে খণ্ডিতভাবে বিভ্রান্তিমূলক ব্যাখ্যা দিয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এজন্য সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের পাঠানো নতুন এ নির্দেশনায় তা স্পষ্ট করা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সৃষ্ট বিভ্রান্তি দূর করতে এবং উক্ত সার্কুলারের নির্দেশনা স্পষ্ট করার লক্ষ্যে এ মর্মে জানানো যাচ্ছে যে অদক্ষতার কারণে চাকরিচ্যুত করা যাবে না বা অদক্ষদের পদোন্নতি দিতে হবে—এ ধরনের নির্দেশনা সার্কুলারের কোথাও বলা হয়নি। সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত কোনও অভিযোগ থাকলে অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালা ও বিধিমালা অনুসরণে প্রশাসনিক কার্যক্রমে কোনও বিধিনিষেধও আরোপ করা হয়নি।
Leave a Reply