চলতি সপ্তাহের শুরুতে বৃষ্টির পর থেকেই সারা দেশে দিনে হালকা রোদ আর রাতে বেশ ঠান্ডা পড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মৌসুমের শেষ প্রান্তে আবার বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, জেট স্ট্রিম বা পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে চলতি মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে আরও ৪ দিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ ছাড়া, মাসজুড়ে শীত থাকবে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে একটি মেঘমালা প্রবেশ করতে পারে। এর প্রভাবে দেশের অনেক এলাকায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আকাশে মেঘ থাকতে পারে। এরপর বসন্ত আগমনী বাতাস শুরু হতে পারে।
গত শুক্র ও শনিবারের বৃষ্টির পর রোববার থেকে সারা দেশে তাপমাত্রা দুই থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যায়। এর জের ধরে রংপুর বিভাগ ও দেশের পাঁচটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়ে। দেশের অন্যান্য এলাকাতেও শীত বেড়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, মঙ্গলবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে তাতে শীতের দাপট অন্তত রাতের বেলা খুব বেশি কমবে না। আগামী দুই-তিন দিনের মাথায় দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মোস্তফা কামাল। তার পর্যবেক্ষণ বলছে, ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে একটি মেঘমালা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওপর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। তা পর্যায়ক্রমে ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এই মেঘমালার মূল অংশ অতিক্রম করতে পারে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের ওপর দিয়ে। জেলাগুলোয় ১০ থেকে ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সোমবার দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীর তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কিছুটা বেশি রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসের গ্লোবাল মডেল (আমেরিকান মডেল) অনুযায়ী, চলতি মাসের ১৮ তারিখ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত আবারো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৪০-৫০ শতাংশ। ১৮ ফেব্রুয়ারি রংপুর বিভাগে এবং ২০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছেন এই গবেষক।
গত ৪-৫ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরাঞ্চলের ফসল, বিশেষ করে আলুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের অনেক জেলার কৃষকরা এখনো আলুর খেত থেকে পানি নিষ্কাশন করতে পারেননি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেলে আগামী ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি দেশের কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে তা দেখা যাচ্ছে।
Leave a Reply