মাহবুব পিয়াল,ফরিদপুর :
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে লক্ষ লক্ষ ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জীবন এখন অর্থনৈতিক মুক্তির বর্ণিল আলোকে আলোকিত। সেই আলোকিত স্বজনের সাক্ষাতে ফরিদপুরের বিভিন্ন আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
শুধু প্রথম পর্যায়ে বাস্তবায়িত আশ্রয়ন প্রকল্পগুলোই নয়, দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণ শুরু হওয়া আশ্রয়ন প্রকল্পগুলোতেও পরিদর্শন করছেন জেলা প্রশাসক। এরই ধারাবাহিকতায় ০৮ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার দুপুরে জেলার ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ গঙ্গাধরদির উত্তর পাড়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। প্রকল্পের প্রস্তাবিত বাসিন্দাদের অনেকই এগিয়ে আসেন জেলা প্রশাসককে দেখে। তারা জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলেন নির্মানাধীন বসতগৃহ ও অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্তির বিষয়ে।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকার এ সময় বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবিরত কাজ করে চলেছেন। আশ্রয়ন প্রকল্প তারই একটি দূরদর্শী স্বপ্নের বাস্তবায়ন। ইতিমধ্যে প্রথম পর্যায় বাস্তবায়িত হয়েছে। এবার দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ চলছে। সকল গৃহ ও ভূমিহীনকে মাথা গোজার ঠাই করে দেয়াই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্যে। এ সময় জেলা প্রশাসক আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপহার দেখে শুনে রাখতে হবে। বসতিতে গাছ রোপন করতে হবে। বিশেষ করে দেশি ফলের গাছ রোপন করতে হবে।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, শুধু ঘরে বাস করলেই হবে না, ঘরের প্রত্যেক সুস্থ সবল মানুষকে কাজ করতে হবে। বাচ্চারা পড়ালেখা করবে। পুরুষরাও কাজ করবে, নারীরাও কাজ করবে। নারীরা যদি বলে কি কাজ করবো-তাহলে হবে না। প্রয়োজনে ঠোঙ্গা বানানো শিখে ঠোঙ্গা বানাতে হবে। নিজের বসত বাড়িকে একটি খামারে পরিনত করতে হবে। সেলাই শিখতে হবে। কাউকে বসে থাকলে চলবে না। জেলা প্রশাসক ঘারুয়া’র এই আশ্রয়ন প্রকল্পে একটি মিনি গার্মেন্টস করার ঘোষণা প্রদান করে বলেন, প্রত্যেক নারীকে সেলাই প্রশিক্ষণ নিতে হবে। সমবায় বা কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে নিজ উদ্যোগে গার্মেন্টসকে এগিয়ে নিতে হবে। ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের মিনি গার্মেন্টস করার প্রস্তাবনাকে স্বাগত জানিয়ে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দা শিরিয়া বেগম (২৭) বলেন, শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের জন্য এগিয়ে আসার জন্য। একই সাথে ডিসি স্যার যে গার্মেন্টস করার কথা বলেছেন আমরা এতে খুশি। আমরা সবাই প্রশিক্ষণ নিয়ে এ কাজে এগিয়ে আসবো।
উল্লেখ্য ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ গঙ্গাধরদির উত্তর পাড়ায় প্রাথমিকভঅবে ১০৫ টি ঘর নির্মান হচ্ছে। পরবর্তীতে আরো ঘর নির্মান হবে। এছাড়া এখানে একটি বাজার, একটি স্কুল, একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ ধর্মীয় প্রাথর্নালয় নির্মিত হবে। পরিদর্শনকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমানসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply