ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ইউক্রেন দাবি করেছে, রাশিয়া তাদের সমুদ্রপথ বন্ধ করে রেখেছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা এ দাবি করেন।
শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী সপ্তাহে নৌমহড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। এ পরিস্থিতিতে তারা সমুদ্রপথ বন্ধ করে দিয়েছে।
দিমিত্রি কুলেবা বলেন, রাশিয়ার বাহিনী আজভ সাগর একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছে এবং কৃষ্ণ সাগর প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
গত বছরের শেষ দিকে ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করে রাশিয়া। এ প্রেক্ষাপটে রাশিয়া ইউক্রেনে একটি আগ্রাসন চালাতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো।
অবশ্য রাশিয়া বরাবরই এ দাবি অস্বীকার করে আসছে।
পরিস্থিতি যখন এমন, তখন সব মার্কিনিকে ইউক্রেন ছাড়ার অনুরোধ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সম্ভাব্য সামরিক আগ্রাসনের মধ্যে তিনি এ নির্দেশনা দিলেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন, ফেব্রুয়ারিতেই ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া।
বাইডেন বলেন, যদি মস্কো ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় তাহলে তিনি মার্কিনিদের রক্ষা করতে কোনো সেনা পাঠাবেন না। তিনি সতর্ক করে বলেন, ওই অঞ্চলে দ্রুতই পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে।
চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইউক্রেন নিয়ে যুদ্ধের শঙ্কার মধ্যে ইউরোপের দেশ বেলারুশে সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার ১০ দিনের এ সামরিক মহড়া শুরু হয়।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাশিয়া যে ইউক্রেনে সম্ভাব্য একটি যুদ্ধের বিষয়ে আসলেই ভাবছে, সেটা ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলোকে দেখাতেই এ মহড়া।
মধ্য জানুয়ারিতে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্য ও অস্ত্র-সরঞ্জাম বেলারুশে আসতে শুরু করে। সামরিক মহড়ায় প্রায় ৩০ হাজার সেনা অংশ নিচ্ছেন।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, এস-৪০০ এয়ার মিসাইল সিস্টেমের দুটি ব্যাটেলিয়ন এবং ১২টি সুখই সু-৩৫ যুদ্ধবিমান বেলারুশে মোতায়েন করা হয়েছে।
ন্যাটো বলছে, স্নায়ু যুদ্ধের সময়ের পর বেলারুশে এটা রাশিয়ার সবচেয়ে বড় সেনা ও অস্ত্র মোতায়েন।
Leave a Reply