প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ মাসের শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব। এজন্য সবাইকে খুব দ্রুত টিকা নিতে হবে।
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ১২ বছর বয়সীদের টিকা দিয়েছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে টিকা কার্যক্রম যেন অব্যাহত থাকে। সবাইকে অনুরোধ ভ্যাকসিন নিয়ে নিবেন। ভ্যাকসিন নিয়ে নিলে আশা করি পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা বিনামূল্যে বই দেয়া শুরু করেছি। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারিতেও করোনার মধ্যেও আমরা বই দিয়েছি। আমাদের প্রত্যেকটা ছেলেমেয়ে লেখাপড়া শিখুক এটা আমরা চাই। আমরা প্রত্যেকটা উপজেলায় সরকারি স্কুল করে দিয়েছি। মিড ডে মিলের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের আমরা বেশি পরিমাণ উপবৃত্তি দিচ্ছি।
তিনি বলেন, বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা কারিগরি শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষিতে যে কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে দেশ ও বিশ্বব্যাপি- সে সুযোগটা আমাদের নিতে হবে। সময় উপযোগী শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণাকে গুরুত্ব দিতে হবে। গবেষণা করেছি বলেই বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
তিনি বলেন, প্রযুক্তি শিক্ষার জন্য আমরা সারাদেশেই মাল্টিমিডিয়া ক্লাস করে দিচ্ছি। কম্পিউটার ল্যাব করে দিচ্ছি। আমাদের সব কাজের লক্ষ্য হলো কর্মসংস্থান কীভাবে বাড়ানো যায়। মাদ্রাসা শিক্ষাকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে তাদের সনদের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কয়েকটি প্রজন্ম তো কিছুই জানতে পারেনি। আমরা বিজয়ের ইতিহাস না জানলে আমাদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ জন্মাবে না।
যুব সমাজ নিজেরা শুধু চাকরিমুখী হবে না। তারা উদ্যেক্তা হিসেবে গড়ে উঠবে। আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আমরা বিশ্বের বুকেও মাথা উঁচু করে চলব- বলেন তিনি।
Leave a Reply