রাশিয়ার সৈন্যরা কিয়েভে ঢুকে পড়েছে বলে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক টুইটে বলেছেন, শত্রুরা এখন ওবোলোনে পৌঁছে গেছে। এটি কিয়েভ শহরের কেন্দ্রস্থল, কিয়েভের পার্লামেন্ট থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে। খবর বিবিসির।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মলোটভ ককটেল তৈরি করে পাল্টা লড়াই শুরু ও অন্যদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্যও পরামর্শ দিয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শান্তিপ্রিয় বাসিন্দারা- সতর্ক থাকুন। বাসা ছেড়ে বাইরে বের হবেন না।
কিছুক্ষণ আগেই ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, রাশিয়ার সৈন্যরা শহরের মধ্যে ঢুকে পড়েছে।
ভিডিওটি ওবোলোন এলাকার বাসিন্দারা তাদের ঘর থেকে ধারণ করেছেন বলে নিশ্চিত হয়েছে।
কিয়েভ থেকে বিবিসির সংবাদদাতা পল অ্যাডামস টুইট করেছেন, গত ১০ মিনিটে কিয়েভে ছোট অস্ত্রের দুই দফা গুলির আওয়াজ শোনা গেল। কি ঘটছে, বোঝা অসম্ভব। তবে গুজব ছড়িয়েছে যে, রাশিয়ার ‘নাশকতাকারীরা’ এর মধ্যেই শহরের মধ্যে কর্মকাণ্ড শুরু করেছে।
কিয়েভ দখল নিয়ে যা বলছে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সূত্র:
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক অ্যান্তন হেরাসচেঙ্কো বলেছেন, উত্তর-পূর্ব এবং উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ট্যাঙ্ক বহর নিয়ে রাজধানী কিয়েভ দখলের জন্য এগিয়ে আসছে রাশিয়া।
কিয়েভ নিয়ে রাশিয়ার পরিকল্পনার কথা ইউক্রেনের প্রাভদা ওয়েবসাইটকে জানিয়েছে একটি গোয়েন্দা সূত্র। যদিও এটি আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য নয়, তবে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে সম্পর্কে সেখানে যা বলা হয়েছে:
কিয়েভের প্রধান একটি বিমানবন্দর দখল করে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করা, যার মাধ্যমে তারা ১০ হাজার সৈন্য নামাবে। সেই সময় সীমান্তে হামলা অব্যাহত রেখে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে ব্যস্ত রাখবে।
কিয়েভের বৈদ্যুতিক এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় নাশকতা করে আতঙ্ক তৈরি করা
মানুষজনকে আতঙ্কিত করে অন্য দেশে আশ্রয় নিতে ঠেলে দিয়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি
কেবিনেট, পার্লামেন্ট ভবনসহ সরকারি ভবনগুলো দখল করা। সেই সঙ্গে নেতাদের আটক করে রাশিয়ার শর্তে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা।
রুশপন্থী নেতাদের ক্ষমতায় এনে সাবেক পূর্ব এবং পশ্চিম জার্মানির মতো ইউক্রেনকে দুইভাবে বিভক্ত করা।
তবে এসব তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply